পঞ্চাশের আগে শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট নিল বাংলাদেশ
Published: 21st, June 2025 GMT
দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত। তার ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে সফরকারীরা। ২৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাব দিতে নেমে ২৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। গল টেস্টের বাকি আছে ১৪ ওভার।
ক্রিজে আছেন কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর আগে পাথুম নিশাঙ্কা ২৪ রান করে ফিরেছেন। লাহিরু উদারা ৯ ও অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস ৮ রান করে ফিরেছেন। দিনেশ চান্ডিমাল ৬ রান করে বোল্ড হয়েছেন।
গলে শান্তর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি: গলে প্রথম ইনিংসে ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করেছিলেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৯ বলে ১২৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন তিনি। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ১৬তম ক্রিকেটার শান্ত।
মুশফিকের ফিফটি মিস: প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করা মুশফিকুর রহিম দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রান করে আউট হয়েছেন। তার আউটের পরই সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস (৩) ও জাকের আলী (২)।
বাংলাদেশের লিড: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৮৫ রান তোলে। সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ব্যাটার মুশফিক ও শান্ত। লিটন দাস ৯০ রান করে আউট হন। জবাবে নামা শ্রীলঙ্কা পাথুম নিশাঙ্কা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে লিডের আশা করছিল। কিন্তু নিশাঙ্কাকে ১৮৭ রানে ও কামিন্দুকে ৮৭ রানে আউট করে ১০ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। স্পিনার নাঈম হাসান ৫ উইকেট তুলে নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল ট স ট র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।