প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলাই যশপ্রীত বুমরার কাজ। উইকেট নেবেন, রানও দেবেন না—বুমরার বোলিং বিশ্লেষণ করলে এটাই বলতে হবে। আর এটি তিনি করেন ধারাবাহিকভাবে। প্রতিনিয়ত এমনটা করলে রেকর্ড তো গড়তেই থাকবেন এই ভারতীয় পেসার! এই যেমন গতকাল হেডিংলিতে গড়েছেন নতুন রেকর্ড।

শনিবার দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেটকে বোল্ড করে বুমরা ভেঙেছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড। এই উইকেটে বুমরা সেনা (SENA) (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) দেশগুলোতে এশিয়ান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারি হয়ে যান।

আরও পড়ুনঈশ্বরের সঙ্গে যুবরাজের চুক্তি, ‘বিশ্বকাপটা দাও, বিনিময়ে যা খুশি নাও’১ ঘণ্টা আগে

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। এই দেশগুলোতে তাঁর মোট উইকেট এখন ১৪৮, যা এসেছে মাত্র ৬০ ইনিংসে। এই তালিকায় বুমরার পর আছেন আকরাম (১৪৬)। ৫৫ ইনিংসে ১৪৬টি উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি। এরপর এই তালিকায় আছেন—অনিল কুম্বলে (১৪১), ইশান্ত শর্মা (১৩০) ও মোহাম্মদ শামি (১২৩)।

৩ উইকেট নিয়েছেন বুমরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ