আন্দোলনের মুখে গত ১০ মে রাতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার কথা জানান। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ কর্মদিবসের বাকি আছে আর মাত্র ৫ কর্মদিবস। 

জাতীয় নাগরিক পার্টি'র যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হান বলেন, জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি হৃদয়ের দাবি জুলাই ঘোষণাপত্র। জুলাই সনদ কোনো ব্যক্তি বা পক্ষের একার নয়। এটি দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য জরুরি। রোববার (২২ জুন) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে সকল অংশীজন এবং শহীদ ও আহতদের এই ইতিহাসকে জুলাই সনদের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া নিতান্তই প্রয়োজন। সরকারের এতে গড়িমসি করবার কিছু নেই। বরং জুলাই ঘোষণাপত্রে যদি কারো দ্বিমত থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা জুলাইকে বিন্দুমাত্র ধারণ করে না। তারা জুলাইয়ের সুবিধাবাদী।

আর সুবিধাবাদীরা আগামীতে ফের স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পারে এতে অবিশ্বাসেরও কিছু দেখছি না। যেহেতু সরকার বলেছে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

সুতরাং আমরা জাতীয় যুবশক্তির পক্ষ থেকে সরকারের বলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে সাথে নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশে বাধা কিসের? না হলে আমরা আবারও রাজপথ বেছে নিতে বাধ্য হবো।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইইউ-ইসি বৈঠক সোমবার

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক নির্বাচনী টিম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করবে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ১৯ আগস্ট ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরো পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি

ইসি জানায়, আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে ৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আসছে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রত্যাশা রেখে সেপ্টেম্বরে তাদের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে এসেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরো জানা যায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইইউ। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য তারা সহায়তা করবে। গণতন্ত্রের সঙ্গে সবসময়ই আছে ইইউ। বাংলাদেশের নির্বাচনও তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

এজন্য নির্বাচন বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নির্বাচন কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে তারা কাজ করবে। এছাড়া নির্বাচনে ডিসইনফরমেশন, মিসইনফরমেশন ও ডিজিটাল সমস্যা নিয়েও কাজ করতে চায় ইইউ।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ