সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
Published: 23rd, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের আলোচিত গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক
জামিনে মুক্তি পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- একই মহল্লার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘‘মামলার ১৮ আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন গোলাম মোস্তফা। পথে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
ঢাকা/রাসেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য স র জগঞ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে লেমুর চুরির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্ক থেকে বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণী লেমুর চুরির ঘটনায় পাচার চক্রের সদস্য অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার মজনু মিয়া (৫৫) পাচার চক্রের একজন সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে কাজ করছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কালাইপাড়া এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চুরি হওয়া তিনটি রিংটেইল লেমুরের মধ্যে একটি উদ্ধার করা গেছে। অন্য দুটির খোঁজ নেই। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, চক্রটি গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে চুরি করা বিরল প্রাণীগুলো বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিলেন। মজনু মিয়া ছিলেন এই প্রক্রিয়ার মূল সহযোগী।
গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে পার্কের নিরাপত্তাবেষ্টনী কেটে তিনটি রিংটেইল লেমুর চুরি করা হয়। পরদিন পার্কের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালে মাদাগাস্কার থেকে পাচারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ কিছু প্রাণী উদ্ধার করে। সেগুলোর মধ্যে চারটি লেমুর গাজীপুর সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। একটি মারা যায়, তিনটি জীবিত ছিল। এই তিন লেমুরই গত মার্চে চুরি হয়। ফলে লেমুর বেষ্টনী এখন খালি।