গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে লেমুর চুরির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
Published: 8th, November 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্ক থেকে বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণী লেমুর চুরির ঘটনায় পাচার চক্রের সদস্য অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার মজনু মিয়া (৫৫) পাচার চক্রের একজন সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে কাজ করছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কালাইপাড়া এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চুরি হওয়া তিনটি রিংটেইল লেমুরের মধ্যে একটি উদ্ধার করা গেছে। অন্য দুটির খোঁজ নেই। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, চক্রটি গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে চুরি করা বিরল প্রাণীগুলো বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিলেন। মজনু মিয়া ছিলেন এই প্রক্রিয়ার মূল সহযোগী।
গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে পার্কের নিরাপত্তাবেষ্টনী কেটে তিনটি রিংটেইল লেমুর চুরি করা হয়। পরদিন পার্কের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালে মাদাগাস্কার থেকে পাচারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ কিছু প্রাণী উদ্ধার করে। সেগুলোর মধ্যে চারটি লেমুর গাজীপুর সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। একটি মারা যায়, তিনটি জীবিত ছিল। এই তিন লেমুরই গত মার্চে চুরি হয়। ফলে লেমুর বেষ্টনী এখন খালি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমি শালিনিকে অনেক কষ্ট দিয়েছি: অজিত
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। অভিনয় গুণে যশ-খ্যাতি সবই কুড়িয়েছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কার পেয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন ৫৩ বছরের অজিত।
এদিকে, সিনেমার পাশাপাশি মোটরসাইকেলের ব্যাপারে শখ রয়েছে অজিতের। তিনি একজন পেশাদার রেসারও। মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, সংগ্রাম ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অজিত।
আরো পড়ুন:
‘কেজিএফ’ অভিনেতা মারা গেছেন
উদয়পুরে বসবে বিজয়-রাশমিকার বিয়ের আসর?
সিনেমা ও মোটরস্পোর্ট—দুই ক্ষেত্রেই অজিতের পথচলা চ্যালেঞ্জে ভরা ছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি যা করি, তাতে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েই করি। অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি সবকিছু অতিক্রম করেছি। রেসিংয়ের ক্ষেত্রেও আমি হয়তো এমনই কঠোর পরিশ্রম করি, যেমন ১৯ বছরের একজন তরুণ করে থাকে; যে রেসিংকে পেশা হিসেবে নিতে চায়।”
অজিতের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ভালো টিম ও তাদের সহযোগিতা। এ তথ্য স্মরণ করে অজিত বলেন, “আপনার ভালো একটি টিম থাকা দরকার। আমি খুব ভাগ্যবান। কারণ যেসব পরিচালক, প্রযোজক, টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”
অভিনেত্রী শালিনির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন অজিত। তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু তার স্ত্রী শালিনি। জীবনের উত্থান-পতনের প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থেকেছেন। অভিনেতার সরল স্বীকারোক্তি, “আমি মনে করি না, আমার সঙ্গে বসবাস করা খুব সহজ বিষয়। আমি ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, তবু ও সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে। সন্তানদের জন্ম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ও আমার সঙ্গে রেসে যেত। ওর সহায়তা না থাকলে কিছুই সম্ভব হতো না।”
খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন অজিত। তা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেতা বলেন, “আমি প্রায় সব সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকি। ভক্তদের ভালোবাসার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেই ভালোবাসার কারণেই পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক সময় কাটানো প্রায় অসম্ভব। আমি ছেলেকে স্কুলে নামিয়ে দিতে পারি না।”
খ্যাতি জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে অজিত বলেন, “খ্যাতি আপনাকে আরামদায়ক জীবন দেয়। কিন্তু জীবনের আসল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোই কেড়ে নেয়।”
১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় অজিত অভিনীত ‘অমরকালাম’ সিনেমা। এর শুটিং করতে গিয়ে অভিনেত্রী শালিনির রূপে চোখ আটকে যায় তার। পরে এ অভিনেত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অজিত। ২০০০ সালের ২৪ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই তারকা যুগল। কয়েক মাস আগে বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন এই জুটি।
ঢাকা/শান্ত