বগুড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪
Published: 23rd, June 2025 GMT
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কাঞ্চনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনায় অন্তত চারজন আহত হন। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র পাল ২০২৩ সালের মার্চে যোগদান করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ তদন্তে সোমবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ সরেজমিন আসেন। এ খবরে চাঁপাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যানারে বিএনপি কর্মী-সমর্থকেরা ওই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বের হয়ে কালভার্ট এলাকায় পৌঁছালে চাঁপাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদ সরকারের নেতৃত্বে একই দলের নেতা–কর্মীরা প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে স্লোগান দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে এমদাদুল হক, সিরাজুল ইসলাম, এনামুল হক ও আলমগীর হোসেন আহত হন। খবর পেয়ে থানা–পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেন।
আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ নানা অভিযোগ ওঠায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ঘর ষ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে প্রবাসীকে অজ্ঞান করে টাকা-মুঠোফোন লুট, লাগেজ নিতে গিয়ে পড়লেন ধরা
দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পাশে বসা যাত্রী তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুস খাওয়ার অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন হোসেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর মানিবাগ, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এ আর হোসেনের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামে। দুবাই থেকে ঢাকায় নেমে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসে তাঁর পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আরমান হোসেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশ আরমানকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আর হোসেন দুবাই থেকে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। একপর্যায়ে বগুড়ার শেরপুরের আগে আরমান বোতল বের করে তাঁকে জুস খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই জুস খাওয়ার পর হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ আর হোসেন বলেন, ‘আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অচেতন হয়ে থাকায় বাসের সর্বশেষ গন্তব্যস্থল নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। এখানে আসার পর পাশে বসা ওই যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজার আমাকে বাস থেকে নামান এবং মুখ-চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পরই আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে আমার চুরি হওয়া টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকারে থাকা আমার ব্যাগ নেওয়ার। ওই ব্যাগে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।