মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, কাতারে অবস্থিত উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান থেকে আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকান হতাহতের খবর নেই। খবর-বিবিসি

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আরও তথ্য আসলে তা সরবরাহ করা হবে।’

এদিকে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিখেছেন, ‌‌‘অভিনন্দন বিশ্ব, এখন শান্তির সময়।’ ইরানের হামলার বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া ‘খুবই দুর্বল’। ‘আমাদের আগেই নোটিশ দেওয়ার জন্য’ তাদের ধন্যবাদ।  

ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের প্রতিক্রিয়া খুবই দুর্বলভাবে দিয়েছে, যা আমরা আশা করেছিলাম এবং খুবই কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।’ ওই অঞ্চলের শান্তির জন্য কাতারের আমির যা করেছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, ইরান ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যার ১৩টি ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে। আরেকটি অন্যদিকে চলে গেছে। ওই হামলায় কোনা আমেরিকানের ক্ষতি হয়নি। ‘তেমন কোনো সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতিও হয়নি।’ এমনকি কাতারের কোনো বাসিন্দাও নিহত বা আহত হয়নি।’

 ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা তাদের ‘সিস্টেম’ থেকে সবকিছু বের করে এনেছে। আশা করি, আর কোনো ঘৃণা থাকবে না। আমাদের আগেই নোটিশ দেওয়ায় আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সম্ভবত ইরান এখন এই অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগোতে পারে। আমি উৎসাহের সঙ্গে ইসরায়েলকেও একই কাজ করতে বলবো।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি সম্পর্কে এই ১০টি তথ্য আপনি জানতেন কি

১. মেসি আর চে গুয়েভারা

লিওনেল মেসির জন্ম আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে। এ শহরেই জন্মেছিলেন কিংবদন্তি বিপ্লবী চে গুয়েভারাও। শুধু একই শহরে নয়, দুজনের জন্মমাসও এক—জুন। মেসির জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর চে গুয়েভারার জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন।

২. ইতিহাসের সর্বোচ্চ লাইক পাওয়া পোস্ট

ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া পোস্টটি মেসির। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সতীর্থদের সঙ্গে উদ্‌যাপনের ছবিটি এখন পর্যন্ত সাত কোটির বেশি লাইক পেয়েছে। এটি শুধু ইনস্টাগ্রাম নয়, সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বকালের সবচেয়ে লাইক পাওয়া পোস্ট।

৩. বন্ধু আমার

ছেলেবেলা থেকেই বন্ধুত্ব মেসি ও আগুয়েরোর। পরে সেই বন্ধুত্ব গড়িয়েছে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কে। আগুয়েরোর ছেলে বেঞ্জামিনের গডফাদার মেসি। কেআরইউ ইস্পোর্টস নামের একটি ইস্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের যৌথ মালিকও তাঁরা। ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে কাতারে গিয়ে দলের সঙ্গে না থেকেও মেসির রুমেই উঠেছিলেন আগুয়েরো।

৪. গায়কের নামে নাম

বিখ্যাত মার্কিন গায়ক লায়োনেল রিচির নামেই রাখা হয় লিওনেল মেসির নাম। মেসির মা সেলিয়া কুচিত্তিনি ছিলেন রিচির বড় ভক্ত। ইংরেজি লায়োনেল (Lionel) আর্জেন্টিনায় এসে হয়ে গেছে লিওনেল (Lionel)—স্প্যানিশ উচ্চারণে।

আরও পড়ুনরেস্তোরাঁর টেবিলে বসে মেসির গল্প ২৬ মে ২০২৫৫. যেখানে মেসি, সেখানেই…

সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মেসির সতীর্থ ছিলেন সের্হিও বুসকেতস। বার্সেলোনা ও ইন্টার মায়ামির হয়ে দুজনে একসঙ্গে খেলেছেন ৬২১ ম্যাচ।

মেসি ও বুসকেতস একসঙ্গে ৬২১টি ম্যাচ খেলেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ