ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আমরাও জবাব দেব না: আরাঘচি
Published: 24th, June 2025 GMT
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে তেহরানে আক্রমণ না করে, তাহলে আমরাও কোনো জবাব দেব না। খবর বিবিসির।
এর আগে হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি এবং কখনও হবেও না। ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন।
তার এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তেহরানের ঘনবসতিপূর্ণ সেভেনথ ডিস্ট্রিক্ট এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েল। এরপর সেখানে বিমান হামলার কথা জানা গেছে।
পাল্টা জবাবে ইসরায়েলির কিছু এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার সকালে সেসব এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দুজন নিহত, আহত ৬৭
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দুজন নিহত এবং কমপক্ষে ৬৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—পলাশ উপজেলার কাজল আলী এবং গাবতলীর ওমর মিয়া।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।”
গাবতলীতে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে পড়ে আহত হন ওমর মিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নরসিংদী জেলা সদর ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৬৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভূকম্পনে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক ভবনে ফাটল ধরেছে। কিছু ভবন হেলে পড়েছে। বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সুমন মিয়া নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেছেন, “এত জোরে কাঁপছিল যে, দৌড়ে বাইরে বের হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আমাদের বাড়ির দেয়ালে বড় ফাটল ধরেছে।”
দোকানি রহিম উদ্দিন বলেছেন, “দোকানের কাঁচের শোকেস ভেঙে গেছে। মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। জীবনে এমন ভয়াবহ কম্পন দেখিনি।”
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ শামিম আহমেদ বলেন, “আমরা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের দ্রুত ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।”
ভূমিকম্পের পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। জেলা প্রশাসন ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণে কাজ করছে।
ঢাকা/হৃদয়/রফিক