প্রস্তুতি ম্যাচে সোহানের ৯৭, নাঈমের ৭৯ ও তানজিমের ৫ উইকেট
Published: 24th, June 2025 GMT
নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান, নাঈম শেখ। ফিফটির দেখা পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার ও সাইফ উদ্দিন। বোলিংয়ে আলো ছড়িয়ে ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প চলছে চট্টগ্রামে। সেখানে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে সবুজ দল ও লাল দল প্রথম ওয়ানডেতে সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল। সবুজ দল ৬ রানে ম্যাচ জিতে নেয়। ২৮ জুন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে চট্টগ্রামেই।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সবুজ দল ৮ উইকেটে ২৭০ রান করে। জবাবে লাল দল গুটিয়ে যায় ৩৯.
নাঈম শেখ জাতীয় দলে ফিরেছেন। দলে ডাক পাওয়ার দিনে ৭১ বলে ৭৯ রান করেন ৭ চার ও ৪ ছক্কায়। সুযোগ পাননি কাজী নুরুল হাসান সোহান। এদিন সর্বোচ্চ ৯৭ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। ৭০ বলে ৭টি করে চার ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারলে ইনিংসটি পূর্ণতা পেত। কিন্তু মাইলফলক ছোঁয়ার ৩ রান আগে তানজিম হাসানের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দেন সোহান। এছাড়া লাল দলের হয়ে মোসাদ্দেক ২৩ বলে ৩১ ও রিশাদ ২০ বলে ২৪ রান করেন।
দিনের আলোয় সবুজ দলের ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও সৌম্য সরকার। দুজন ৮৩ রানের জুটি গড়েন। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। সৌম্য ৫১ বলে ৫৫ ও পারভেজ ৭১ বলে ৫৮ রান করেন। জাতীয় দলে পারভেজ জায়গা ধরে রাখতে পারলেও সৌম্যর সুযোগ হয়নি। সাইফউদ্দিন আলো ছড়িয়ে ৩৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৬ রান করেন। এছাড়া শেখ মেহেদী ৩১, শামীম ২৪ রান করেন। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তানজিদ হাসান।
দিনের সেরা বোলার ছিলেন তানজিম। ৭.৩ ওভারে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, রিশাদ, নাসুম ও শামীম।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন প রস ত ত সব জ দল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।