ষষ্ঠ মেধাতালিকা দিয়েও জবির ‘বি’ ইউনিটে অর্ধশতাধিক আসন ফাঁকা
Published: 25th, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ‘বি’ ইউনিটের আসন পূরণে দেখা দিয়েছে সংকট। অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় কলা ও আইন অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ফাঁকা রয়েছে অর্ধশতাধিক আসন।
বুধবার (২৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “অনুষদের আওতাধীন ১২টি বিভাগে বর্তমানে ৭০-৭৫টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এসব আসন পূরণে ডিন অফিসে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
রাবির কলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত
সড়ক অবরোধ করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তিনি আরো বলেন, “আজ যারা সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকেই শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট চয়েজ ও ফাঁকা আসনের সামঞ্জস্য রেখে ভর্তি সম্পন্ন করা হবে। ক্লাস ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তাই দ্রুত মেধাতালিকা প্রকাশ করে ভর্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে,"।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিনভর ভর্তিচ্ছুদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ফাঁকা আসনের চেয়ে প্রায় সাতগুণ শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক হোসনে আরা।
তবে আসন ফাঁকা থাকলে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে ভর্তি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দোমড়ানো–মোচড়ানো ছবি আর যত সব হারানো ঠিকানা
তারুণ্য
এক হাজার দরজার ওপারে
যখন আমি খুব ছোট ছিলাম, আর একা ছিলাম
চার চারটা গ্যারাজ সেই বড় বাড়িটায়, আর তখন
গরমকাল ছিল, যত দূর মনে পড়ে,
রাতে লনের ওপর শুয়ে আমি,
আমায় ঢেকে রেখেছে দুমড়ে–মুচড়ে যাওয়া ক্লোভার,
ওপরে প্রাজ্ঞ তারাদের বিছানা,
মায়ের ঘরের জানালাটায়-চোঙার ভিতর থেকে
হলুদ উত্তাপ ঝরে ঝরে ক্লান্ত,
বাবার জানালাটা, অর্ধেক বন্ধ,
এক চোখ—যেখানে ঘুমন্ত মানুষেরা ফিরে যায়,
আর বাড়িটার কাঠের তক্তা, দেয়াল মসৃণ মোমের মতো সাদা
হয়তো লক্ষ লক্ষ পাতা ভেসেছিল—তাদের
অদ্ভুত বোঁটায় ভর দিয়ে
পাশে তখন ঝিঁঝি পোকার ডাক
আর আমি, আমার আনকোরা নতুন শরীরে,
তখনো নারী নই,
রাতের তারাদের প্রশ্নগুলো করেছি
আর ভেবেছি ঈশ্বর হয়তো সত্যিই দেখতে পাবে
সব তাপ, আর রং করা আলো,
কনুই, হাঁটু, স্বপ্ন, শুভরাত্রি।
[‘ইয়াং’ কবিতাটি ‘অল মাই প্রিটি ওয়ানস’ (১৯৬২) বই থেকে নেওয়া।]