ভারতের ক্রিকেটে শুবমান গিল-যুগের শুরুটা হলো হার দিয়ে। পাঁচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে ভারত। এমন হারের পর দলের ভেতরে তো অবশ্যই, ভারতের সাবেক ক্রিকেটার-বিশ্লেষকেরাও কাঁটাছেড়া করছেন, কোথায় কী কী ভুল হলো গিলের দলের।

শেষ পর্যন্ত যত ভুলভ্রান্তির কথাই উঠে আসুক, দিন শেষে যা পাওয়া যায়, তা হচ্ছে ‘পাঠ’ বা ‘শিক্ষা’। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসকিডা বলছে, হেডিংলিতে হেরে তিনটি কঠোর বাস্তবতা টের পেয়েছে ভারত। যে শিক্ষা কাজে লাগাতে না পারলে সিরিজের পরের টেস্টগুলোতেও ভুগতে হবে।

১.

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলাই যথেষ্ট নয়

ফলের ঘরে ইংল্যান্ড জয়ী। তবে পাঁচ দিনের খেলায় বেশির ভাগ ভালো অবস্থানে কিছু ভারতই ছিল। ম্যাচে কিছু সময় ভারতই ছিল এগিয়ে। যেমন প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩৫৯ (যদিও দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্যাটিং-ব্যর্থতায় সংগ্রহটা ৫০০–তে পৌঁছায়নি)। প্রথম ইনিংসে বোলাররাও খারাপ করেননি। ৬ রানের লিড এনে দিয়েছেন তাঁরা। আবার চতুর্থ দিন চা–বিরতির সময়ও ম্যাচে ইংল্যান্ডের চেয়ে মোট ৩০৪ রানে এগিয়ে ছিল ভারত, হাতে ছিল ৬ উইকেট। এমনকি শেষ পর্যন্ত বেন স্টোকসের দলকে লক্ষ্যও দেওয়া গেছে ৩৭১ রানের, যা চতুর্থ ইনিংসের জন্য কম নয়।

ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ১৪৯ রান করেন ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে এনসিপির জেলা ও সদর উপজেলা কমিটি স্থগিত

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও সদর উপজেলায় গঠিত সমন্বয় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটি স্থগিতের ঠিক আধা ঘণ্টা আগে জেলা এনসিপির ৫ নম্বর সদস্য আব্দুল্লাহ আদিল ওরফে টুটুল ও ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদারকে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। বহিষ্কারের একটি বিজ্ঞপ্তিও এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

দুটি আলাদা বিজ্ঞপ্তির সূত্র জানায়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের ভঙ্গের অভিযোগ তুলে এনসিপির মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটি ও মাদারীপুর জেলার অধীনে থাকা সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার অনুমোদন করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশনা অনুসারে মাদারীপুরে এনসিপির দুটি কমিটি স্থগিতের ঘোষণা করেন। এর আগে এনসিপির মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটির ওই দুই সদস্যকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সদ্য স্থগিত হওয়া মাদারীপুর জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘‘অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হতে হবে। আর যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই ঝামেলার বন্দোবস্ত করেছেন, তাদের সকলের সামনে আনতে হবে।’’

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। 

সম্প্রতি এনসিপির ৩১ সদস্যের জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহসহ অনেকেই। জেলা কমিটি হওয়ার তিন দিন পরই জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে সদর উপজেলায় ২৬ সদস্যের এনসিপি আরো একটি কমিটি গঠন করে।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 

ঢাকা/বেলাল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ