শ্রীলঙ্কায় তিন ম‌্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে সীমিত পরিসরের ক্রিকেটারদের মধ‌্যে অনেকেই রান পাননি। চট্টগ্রামে নিজেদের মধ‌্যে খেলা প্রস্তুতি ম‌্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন তানজিদ হাসান, নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমনরা।

তবে টানা দুই ম‌্যাচে রান পেয়েছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। তাকে অবশ‌্য নেওয়া হয়নি ওয়ানডে দলে। প্রথম ওয়ানডেতে ৯৭ রানের পর গতকাল দ্বিতীয়টিতে ৬৮ রান আসে তার ব‌্যাট থেকে। এছাড়া পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। লাইমলাইটে থাকা সাইফ হাসান ৭১, অমিত হাসান ৭৩ ও ইয়াসির আলী চৌধুরী ৪৪ রান করেন। সৌম‌্য সরকার করেছেন ৪০ রান। তারা অবশ‌্য কেউই নেই ওয়ানডে দলে।

ম‌্যাচে সবুজ দল ৭ উইকেটে হারিয়েছে লাল দলকে। দিবারাত্রির ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে লাল দল ২৩০ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে সবুজ দল ৩৯.

৩ ওভারে লক্ষ‌্য ছুঁয়ে ফেলে।

তানজিদ হাসান লাল দলের হয়ে ১৭ রান করেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। নাঈম শেখ ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ১৯ রানে রান আউট হন শামীমের থ্রোতে। এছাড়া মোসাদ্দেক শূন‌্য, রিশাদ ৭ রান করেন।

দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে পাঁচে নেমে সোহান ৮৫ বলে ৬৮ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। এছাড়া সাইফ হাসান ১০৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন।

সবুজ দলের বোলারদের মধ‌্যে তানজিম হাসান ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেন। প্রথম ওয়ানডেতে তার শিকার ছিল ৫ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শরিফুল ও তানভীর পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে সবুজ দলের ওপনার পারভেজ ১৬ রানে থেমে যান। ৪০ করে আউট হন সৌম‌্য। এরপর অমিত হাসানের ৭৩ ও ইয়াসির আলী চৌধুরীর ৪৪ রানের ইনিংসে সহজেই লক্ষ‌্যের দিকে এগিয়ে যায় সবুজ দল। শেষ দিকে শামীমের ৩২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংসে সহজেই জয় পায় সবুজ দল।

বোলিংয়ে লাল দলের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন স্পিনার সাইফ হাসান। ১ উইকেট নেন রিশাদ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ জুন ঢাকা ছাড়বেন ক্রিকেটাররা।

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন সব জ দল ল ল দল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ