গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৭৯ ফিলিস্তিনি
Published: 26th, June 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরো অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। আজ বৃহস্পতিবার আল জাজিরার লাইভে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এ ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহর উত্তর-পূর্বে কাফর মালেকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
গাজায় হামাসের হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ফিলিস্তিন-ইরানে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ইসরাইলি পতাকায় অগ্নিসংযোগ
আল-আকসা টিভি এবং ফিলিস্তিনি তথ্যকেন্দ্র বলছে, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থলে কমপক্ষে দুটি হামলা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের মাজাইদা পাড়ায় আবু আরব পরিবারের আরেকটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী নেটজারিম জংশনের কাছে সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায়ও একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, তখন থেকে গাজায় কমপক্ষে ৫৬ হাজার ১৫৭ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল কমপক ষ আরও ব ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ‘মোটা জেনারেল’ এবং বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর অধঃপতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমান্ডারদের এক বিরল সমাবেশে তিনি বলেন, যাঁরা তাঁর কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
হেগসেথের সঙ্গে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে সমবেত অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি মার্কিন শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনকে ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা দেন।
ফক্স নিউজের সাবেক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হেগসেথ এবং সাবেক রিয়েলিটি টিভি তারকা ট্রাম্পের এ মন্তব্য একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহে হঠাৎই এই সমাবেশের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল।
হেগসেথ অনুষ্ঠান শুরু করে বলেন, ‘নির্বোধ ও বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল পথে পরিচালনা করায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ‘ওউক ডিপার্টমেন্ট’ (অতিমাত্রায় প্রগতিশীল বিভাগ) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
সারা বিশ্ব থেকে উড়ে আসা শীর্ষ কর্মকর্তায় ভরা মিলনায়তনে ভাষণ দেওয়ার সময় হেগসেথ তাঁর মাধ্যমে ফ্ল্যাগ কর্মকর্তাদের যাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন, সেই সেটিকে সমর্থন করেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ শীর্ষ মার্কিন জেনারেল এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে তিনি অব্যাহতি দিয়েছেন, তাঁরা একটি ভেঙে পড়া সংস্কৃতির অংশ ছিলেন।
হেগসেথ পেন্টাগন যেভাবে বৈষম্যের অভিযোগ ও অন্যায়ের তদন্ত পরিচালনা করছে, তাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘ডিমের খোসার ওপর দিয়ে হাঁটার মতো’ সতর্ক থাকতে হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের ডাকে সমাবেশে যোগ দেওয়া মার্কিন শীর্ষ জেনারেলরা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ভার্জিনিয়া