বিএনপির শর্তের সঙ্গে একমত নয় জামায়াত
Published: 25th, June 2025 GMT
একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব শর্ত সাপেক্ষে মেনে নেবে বিএনপি। এ জন্য সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) বা এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের বিধান সংবিধানে যুক্ত করা যাবে না বলে শর্ত দিয়েছে দলটি।
বিএনপির এই শর্তের সঙ্গে একমত নয় জামায়াতে ইসলামী। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছি, আমরা অবস্থান থেকে সরি নাই এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরে নাই। এই পয়েন্টে সবাই এখন পর্যন্ত ঐকমত্যই আছেন যে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। বিএনপি যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে, এই ব্যাপারে তো অন্যান্য রাজনৈতিক দল একমত হয়নি। বিএনপি বলছে যে ১০ বছর সর্বোচ্চ এই পয়েন্টে একমত হলে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের যে নিয়োগ কমিটি এই টাইপের কমিটি–টমিটি কিছু থাকতে পারবে না। এ ব্যাপারে হাউসের অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করেনি এবং আমরাসহ সবাই আগের মতো অবস্থানে ছিলাম।’
মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অধিকাংশ দল যেহেতু এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছে, এখন বাস্তবায়নের দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশনের। আমরা দেখি ওনারা কী করেন। আমরা বিশ্বাস করি, ওনারা এ ব্যাপারে শক্ত থাকবেন।’
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্তকরণে ঐকমত্য হয়েছে বলে দাবি করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাবনা এসেছে। যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখিত হবে। এই কথার সাথে পঞ্চম সংশোধনীর “আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” যুক্ত করার ব্যাপারে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছে।’
আজকের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বৈঠকে সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, এনসিসি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জুবিনকে নিয়ে যা লিখলেন প্রিন্স মাহমুদ
‘যে প্রেমেতে স্বপ্ন দেখে মন, রাত জাগে দু নয়ন, চিতার আগুনে দেখি সে প্রেম আজ জ্বলছে এখন’- গানটি ভারতীয় জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জুবিন গার্গের গাওয়া। গানের কথার মতোই চিতার আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে গেছেন জুবিন। মৃত্যুর পাঁচ দিন পরে শেষকৃত্য হয়েছে তার। শেষ যাত্রায় আসামের মানুষ জুবিনকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা নজির গড়েছে। বিশ্বের চতুর্থ গণ জমায়েতের রেকর্ড গড়েছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ ২৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন ‘‘বড় ভাই জুবিনের শেষকৃত্যে জন-সুনামি, লাখ মানুষের ঢল। আর এর পোস্ট দেখিয়া এতক্ষণে বিষাদে অনুধাবন করিলেন জুবিন মহান শিল্পী ছিল...’’
আরো পড়ুন:
জেলের স্মৃতি শেয়ার করলেন রিয়া চক্রবর্তী
এবার ধারাবাহিক নাটকে যুক্ত হলেন সুনেরাহ
প্রিন্স মাহমুদের ওই পোস্টের কমেন্টে আখতারুজ্জামান নামের একজন লিখেছেন, ‘‘মঞ্চ কাঁপানো মহৎ এই শিল্পী সবাইকে কাঁদিয়ে সমুদ্রে হারিয়ে গেলেন। অনেকেই হয়তো তাকে ইয়া আলী কিংবা দেবের সিনেমার গানে চিনে। কিন্তু মুলধারার শ্রোতারা তাকে বহুকাল ধরে চিনে। প্রতিমা পাণ্ডে বড়ুয়ার গান তার গলায় শুনে ফ্যান হয়ছি।’’
চন্দ্র শেখর নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘‘ভাইয়া আসল ব্যাপারটা হচ্ছে,একজন শিল্পী ঠিক কতটা ভালো মানুষ তার ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল তার শিল্পকর্ম। পৃথিবীতে মানুষ আছে ৮শ কোটি। এর মধ্যে ৮ কোটি গায়কও নেই। ধরলাম ২ কোটি আছে। এই ২ কোটি শিল্পীই আসলে ৮শ কোটি মানুষের হৃদয়ের প্রতিরূপ। সেই জন্য শিল্পীদের বরাবর সমস্ত বিষয়ে ভীষণ নিরপেক্ষ থাকতে হয়।কা রণ তারা মানুষের মনের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই জন্য যে যত ভালো শিল্পী সে অবশ্যই তত ভালো মানুষ, হয়তো জুবিনদার ক্ষেত্রেও সেরকম। ধন্যবাদ।''
ঢাকা/লিপি