মুক্তি পাচ্ছে নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমনের কাঙ্ক্ষিত সিনেমা ‘অন্যদিন’। গত রেজিমের এক দশকে ভেসে বেড়ানো একটি দেশের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিটি সর্বসাধারণের জন্য জুলাইতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটির একটি বিশেষ প্রদর্শনী হয়। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ফরিদা আখতার, অধ্যাপক ড.
অন্যদিন কামার আহমাদ সাইমন নির্মিতব্য জলত্রয়ীর দ্বিতীয় সিনেমা; যার প্রথম সিনেমা ছিল শুনতে কি পাও! এই সিনেমা দিয়ে আলোচনায় আসেন কামার। ছবিটির জন্য প্যারিসের জর্জ পম্পিদ্যু সেন্টারে সিনেমা দ্যু রিলে শ্রেষ্ঠ ছবির জন্য গ্রাঁ প্রি এবং মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণশঙ্খসহ জয় করেন আরও অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এছাড়াও ছবিটি পেয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
প্রদর্শনী শেষে কামার ‘অন্যদিন’ মুক্তির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘‘একটা ছবিকে গায়েব করা মানে, একজন নির্মাতাকে গুম করে দেওয়া। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের আগে ‘অন্যদিন’ দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই কারণে ঠিক করেছিলাম আর কোনো ছবিই বানাবো না। কিন্তু জুলাই এসে সব ওলট-পালট করে দিল। কাক এবং কবিরা কিন্তু ভূমিকম্প আগে টের পায়, যেকোনো শিল্প মাধ্যমের ক্ষেত্রেই কথাটা খাটে, যদি না শিল্পীরা তাদের আত্মসত্তা বিক্রি করে না দেন। বিগত রেজিমের জন্য ছবিটি প্রফেটিক হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে দিয়েছিল অন্যদিন অথচ এখন আবার জুলাই এলো বলেই অন্যদিন দেখানো যাচ্ছে। সেই জন্য ঠিক করেছি এই জুলাইতেই মুক্তি দিব অন্যদিন।’’
সিনেমার প্রযোজক সারা আফরীন জানান, অন্যদিন নিয়ে কান, লোকার্নো, ক্যামডেনের মতো প্রথম সারির অনেক উৎসবপ্রাপ্তি থাকলেও দেশে ছবিটা দেখানোর ব্যাপারে এতদিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার দেশের প্রক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। উল্লেখ্য, অন্যদিন ছিল ২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশন সিনফন্দেশিওনের ছবি। এই ছবির জন্যই ২০১৬ সালে লোকার্নোর পিয়াতজা গ্রান্দায় বাংলাদেশের প্রথম কোনো নির্মাতা হিসেবে ‘ফিচারড ডিরেক্টর’-এর সম্মাননা পেয়েছিলেন কামার, সেই সঙ্গে ফ্রান্স থেকে আর্তে পুরস্কার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র র জন য আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।