ভারত কেবল মুসলিমদের ‘বিদেশি’ বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে
Published: 26th, June 2025 GMT
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ৬৭ বছর বয়সী সাইকেল মেকানিক আলী গত ৩১ মে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। এর আগে তিনি চারটি ভয়ংকর দিন কাটিয়েছিলেন বাংলাদেশে। জন্মের পর থেকে তিনি জীবনভর এই প্রতিবেশী দেশটির নাম কেবল ‘গালি হিসেবে’ শুনেছেন বলে দাবি করেন।
আলীর এই এক সপ্তাহের দুর্ভোগ শুরু হয় ২৩ মে। ওই দিন রাজ্যের মোরিগাঁও জেলার কুইয়াদল নামের ছোট একটি গ্রামে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে আসাম পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। সেদিন রাজ্য সরকার ঘোষিত ‘বিদেশি নাগরিকদের’ ধরপাকড় শুরু করে। আসামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে কেবল ‘বিদেশি নাগরিক’ বলা হয়ে থাকে।
আসাম হচ্ছে চা উৎপাদনকারী এলাকা। এ অঞ্চলে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বাংলাভাষী মানুষের আগমন ঘটেছে এবং তাঁরা সেখানে বসবাস করছেন। এর পর থেকে স্থানীয় আদিবাসীদের (যাঁরা মূলত অসমিয়া ভাষায় কথা বলেন) সঙ্গে জাতিগত উত্তেজনা তৈরি করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৬ সালে প্রথমবার আসামের ক্ষমতায় এলে এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। রাজ্যের ৩ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি মুসলিম, যা ভারতের যেকোনো রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ হার।
আলী হচ্ছেন সেই ৩০০-এর বেশি মুসলিমের একজন, যাঁদের মে মাস থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের ঠেলে পাঠানো আরও জোরদার করা হবে। আমাদের রাজ্যকে বাঁচাতে আরও সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।’
নীল আকাশের নিচে নরক
২৩ মে পুলিশ আলীকে আটক করে ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের গোয়ালপাড়া জেলার মাতিয়ায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় আসামের কথিত ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের জন্য রাজ্যের সবচেয়ে বড় বন্দিশিবির নির্মাণ করা হয়েছে।
তিন দিন পর ২৭ মে ভোরবেলায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আলী, পাঁচ নারীসহ ১৩ জনকে একটি ভ্যানে করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যায়।
আলী বলেন, ‘বিএসএফ আমাদের জোর করে ওপারে ঠেলে দিতে চাইছিল। কিন্তু বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) এবং স্থানীয় বাংলাদেশিরা প্রতিবাদ জানায়, তারা আমাদের নেবে না। কারণ, আমরা ভারতীয়।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৬ সালে প্রথমবার আসামের ক্ষমতায় এলে এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। রাজ্যের ৩ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি মুসলিম, যা ভারতের যেকোনো রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ হার।ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ নামে পরিচিত একটি খোলা মাঠে আলীসহ অন্যদের পরবর্তী ১২ ঘণ্টা হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তাঁদের জন্য ছিল না কোনো খাবার, আশ্রয় কিংবা সুরক্ষা।
আলীকে জলাভূমিতে বসে থাকতে এবং তাঁর চোখেমুখে গভীর আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে—এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা নীল আকাশের নিচে নরক দেখেছি আর অনুভব করেছি, কেমন করে জীবন আমাদের ছেড়ে যাচ্ছিল।’
আলী বলেন, তাঁরা যখন ভারতের দিকেই ফিরে যেতে চান, তখন বিএসএফ তাঁদের ভয় দেখিয়ে বলে, ফিরে গেলে গুলি করা হবে।
আলী বলেন, ‘আমরা কান্নাকাটি করে অনুরোধ করেছিলাম যেন আমাদের না ঠেলে দেওয়া হয়। তখন ভারতের নিরাপত্তা সদস্যরা রাবার বুলেট ছোড়েন। ওই স্থান আমাদের জন্য কোনো “নো ম্যানস ল্যান্ড” ছিল না। বরং সেটি ছিল এমন এক জায়গা, যেখানে আমাদের কোনো দেশই ছিল না।’
৫০ বছর বয়সী রহিমা বেগমকে একইভাবে আসামের গোলাঘাট জেলা থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলছেন, এ ঘটনার স্মৃতি তাঁকে এখনো তাড়া করে।
বিএসএফ ওই আটকে পড়া ‘ভারতীয় নাগরিকদের’ ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে। বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাতে ‘আকাশে চার রাউন্ড গুলি’ ছুড়েছেজিতেন চন্দ্র দাস, রৌমারীর স্থানীয় সাংবাদিকরহিমা বলেন, ‘আমি যখন দৌড়ে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন বিজিবি আমাকে মারধর করে। আমার কোনো পালানোর পথ ছিল না। বিএসএফ হুমকি দেয়, যদি আমরা না যাই ওপারে, তাহলে তারা আমাদের গুলি করে মারবে।’
বাংলাদেশের সীমান্ত শহর রৌমারীর সাংবাদিক জিতেন চন্দ্র দাস। তিনি এ ঘটনা নিয়ে একটি বাংলা দৈনিকে প্রতিবেদন করেছিলেন। এই সাংবাদিক আল–জাজিরাকে বলেন, বিএসএফ ওই আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে। বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাতে ‘আকাশে চার রাউন্ড গুলি’ ছুড়েছে।
তবে ২৭ মে বিএসএফ এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কেবল বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে’ কাজ করেছে।
বাংলাদেশি গ্রামবাসী ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের পর বিজিবি আলীকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে তিনি জঙ্গল পেরিয়ে ১০ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে বাড়ি ফেরেন।
৩১ মে আসামভিত্তিক দ্য সেন্টিনেল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজিবির কাছ থেকে বিএসএফ ৬৫ জন সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত নেয়।
গত ৩১ মে আসামভিত্তিক দ্য সেন্টিনেল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজিবির কাছ থেকে বিএসএফ ৬৫ জন সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত নেয়।বাংলাদেশে ঠেলে পাঠনো হয়েছিল, ভারতের এমন মুসলিম নাগরিকেরা আল–জাজিরাকে বলেন, বিজিবি তাঁদের আন্তর্জাতিক সীমান্তে রেখে যায়। সেখান থেকে অন্তত ১০০ জন নিজেরাই বাড়ি ফিরে যান। এসব দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে অনেকেই জানান, সীমান্তে ‘সাদাপোশাকে থাকা লোকজন’ তাঁদের গ্রহণ করেন এবং পরে হাইওয়েতে ফেলে রেখে চলে যান।
মুসলিমদের বিতাড়নের ঢেউ
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গুলি করে ২৬ জনকে হত্যা করে সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পাকিস্তান-সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ তোলে ভারত। ওই ঘটনার পরই ভারতে মুসলিমবিরোধী মনোভাব আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর পর থেকেই তথাকথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বিতাড়নের প্রচার-প্রচারণা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি অধ্যাপক অপূর্বানন্দ আল–জাজিরাকে বলেন, পেহেলগাম হামলার পর ভারতের কেন্দ্রীয় ও আসাম রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি দুর্বল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দেওয়ার অজুহাত খুঁজে পায়। যেমন রোহিঙ্গা সম্প্রদায় কিংবা বাংলাভাষী ভারতের মুসলিম নাগরিক।
অপূর্বানন্দ বলেন, ‘বিজেপি সরকারের অধীন ভারতে মুসলিম পরিচয় মানেই সন্ত্রাসবাদের প্রতীক। এই সরকার বাংলাভাষী মুসলিমদের অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচনা করে।’
আসামের বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে আসছে, চলমান কথিত বিদেশি নাগরিক ধরার অভিযানে কেবল মুসলিমদের নিশানা করা হচ্ছে। কংগ্রেস পার্টির নেতা দেবব্রত শইকিয়া আল–জাজিরাকে বলেন, তারা কেবল মুসলিমদেরই মাতিয়া বন্দিশিবির থেকে ঠেলে পাঠিয়েছে।
অবশ্য বিজেপির মুখপাত্র মনোজ বৌরাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযান ধর্মভিত্তিক নয়। তিনি দাবি করেন, অবৈধ হিন্দুদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হতে পারেন।
আসামের পরিস্থিতি
আসামে বহু দশক ধরে জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনা চলে আসছে। এই উত্তেজনার মূল শিকড় রয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে।
১৯ শতকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা আসামের পার্বত্য এলাকাগুলোয় চা–বাগান তৈরি করে। এতে কাজ করতে বাংলাভাষী মুসলিম ও হিন্দু—উভয় সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক শ্রমিক আসামে আসেন। তাঁদের অনেকে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল থেকে এসেছেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় ভারত ও পাকিস্তান—দুটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হয়। পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান, যেখানে বেশির ভাগ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা ছিল উর্দু।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ভাষা নিয়ে গণ–আন্দোলনের পর ভারতের সহায়তায় ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধ হয় এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আজকের দিনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার (২ হাজার ৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) আসামের সঙ্গে।
অন্যদিকে আসামের কর্তৃপক্ষ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে (বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগের দিন) একটি সীমারেখা হিসেবে নির্ধারণ করে। বাংলাভাষী বসবাসকারীদের নাগরিকত্ব দাবি করতে হলে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করতে হয়, তাঁরা ওই তারিখের আগে আসামে এসেছিলেন।
এ ধরনের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে আসাম রাজ্যে স্থাপিত বিশেষ ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল’ বা বিদেশি ট্রাইব্যুনাল। এসব ট্রাইব্যুনাল একটি বিশেষ আদালতের মতো কাজ করে এবং সরকারি নথিপত্রে ছোটখাটো বানান ভুল বা অমিল দেখিয়ে মানুষকে ‘বিদেশি’ ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখে।
পেহেলগাম হামলার পর ভারতের কেন্দ্রীয় ও আসাম রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি দুর্বল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দেওয়ার অজুহাত খুঁজে পায়। যেমন রোহিঙ্গা সম্প্রদায় কিংবা বাংলাভাষী ভারতের মুসলিম নাগরিকঅধ্যাপক অপূর্বানন্দ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছিল, এসব ট্রাইব্যুনাল ছিল ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং তারা ‘ইচ্ছামতো কাজ করে’।
ওই বছরেই আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। অবৈধ বাসিন্দাদের শনাক্ত করতে সরকার বহু বছর ধরে এই এনআরসি প্রস্তুত করছিল।
এই তালিকায় প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাকে বাদ দেওয়া হয়, যাঁদের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ মুসলিম। এনআরসি প্রকাশের পর জোরপূর্বক ভারত থেকে বহিষ্কার করতে শত শত মুসলিমকে বন্দিশিবিরে ধরে নেওয়া হয়।
ফেনী সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়া হয় এসব নারী–পুরুষকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল জ জ র ক আস ম র ক ক ষমত য় ব এসএফ আম দ র ক জ কর প রক শ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় আরও ১৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের কেন্দ্রী এলাকা দিয়ে আরও ১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ মঙ্গলবার ভোরে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের আটক করে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) মিনাটিলা বিওপির সদস্যরা।
বিজিবি জানিয়েছে, ভোররাতে বিএসএফ-৪ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশি এসব নাগরিকদের জৈন্তাপুর কেন্দ্রী এলাকায় ঠেলে পাঠায়। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি।
এ বিষয়ে ৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক সমকালকে জানান, যাচাই-বাছাই শেষে আটকদের থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত ১২ জুন একই উপজেলার শ্রীপুর ও মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।