ডিগবাজি দিয়ে নতুন কাজের খবর দিলেন জায়েদ খান
Published: 26th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় যুক্ত হওয়ার খবর আগেই জানিয়েছিলেন নায়ক জায়েদ খান। ৬ মাস অতিক্রম হওয়ার পর অবশেষে আসছে জায়েদ খানের অনুষ্ঠান। ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ নামের বিশেষ শোয়ের মাধ্যমে প্রথমবার হোস্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে নায়কের।
এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব প্রচার হতে যাচ্ছে ৪ জুলাই, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। তবে প্রথম পর্বে জায়েদ খানের অতিথিশালায় কে বা কারা থাকছেন, সে বিষয়টি আগাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন সঞ্চালক। বললেন, সেটা না হয় চমক হিসেবেই তোলা থাক।
শুধু তারকাদের নিয়েই যে এই অনুষ্ঠানের ডিজাইন, তা নয়। দেশ ও প্রবাসী দর্শকদের মানসপটে স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্যেই সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। থাকছে তারকাদের একান্ত সাক্ষাৎকার, প্রবাস জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প, সামাজিক বাস্তবতা এবং নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবনী ভাবনার স্পর্শ নিয়ে খোলামেলা আলাপ।
গতকাল সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন জায়েদ খান। পোস্টার লেখা, ঠিকানা প্রেজেন্স ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’। সঙ্গে জায়েদ খানের ডিগবাজি দেওয়ার প্রতীকী ছবি।
সম্প্রচারের বার্তা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জায়েদ খান সমকালকে বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের গল্পগুলো উঠে আসবে—বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’
বলা দরকার, জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই স্টেজ শোয়ের কারণে জায়েদ খান অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। অনুমান করা যাচ্ছে, সহসা তিনি দেশে ফিরছেন না। বিপরীতে স্টেজ শো আর সঞ্চালনা দিয়ে থিতু হতে যাচ্ছেন মার্কিন মুলুকে। পরিকল্পনা করছেন হলিউডে (লস অ্যাঞ্জেলেস) বসে ঢালিউড সিনেমা করার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৬০ বাংলাদেশি
আগামী ২০ আগস্ট লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬০ বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফিরছেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকে কাজের সুযোগ না পাওয়ায় লিবিয়া ছেড়ে নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সমন্বয়ে পরিচালিত মানবিক প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় তাদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ত্রিপোলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ৭ আগস্ট লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার আইওএম'র ভারপ্রাপ্ত চিফ অব মিশনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত আইওএম'র কাছে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত নিবন্ধন এবং পর্যায়ক্রমে তাদের প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে ত্রিপোলী, মিসরাতা, বেনগাজীসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।
আইওএম'র কর্মকর্তারা জানান, তারা বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও বর্তমানে ফ্লাইটের সংখ্যা সীমিত, তবে ভবিষ্যতে তা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ আগস্ট বেনগাজী থেকে একটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ফ্লাইটে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে একমত হয় এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা