গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে দুজনের মৃত্যু
Published: 27th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে পৃথক দুটি স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর রেল স্টেশন এলাকা এবং রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ইজ্জতপুর রেল স্টেশনের পাশে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম জয়নাল আবেদীন (৪৫)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের পাটপচা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন সাইকেলের মিস্ত্রি ছিলেন। নিহত নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী জানিয়েছেন, ময়মনসিংহগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সাতখামাইর রেলস্টেশন এলাকায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু ঘটে।
অন্যদিকে, রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আমিন ইসলাম জানিয়েছেন, দুপুরে ইজ্জতপুর রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশে স্থানীয় বাসিন্দারা এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।
গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.
মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে