সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল সীমান্তে ১৪ রোহিঙ্গাকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সদস্যরা লালাখাল সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ভারতের জালিয়াখোলা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন সীমান্তের ১৩০১ নম্বর পিলার থেকে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ গজ ভেতরে রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সীমান্ত টহলে থাকা বিজিবি সদস্যরা সেখান থেকে তাদের আটক করে।

আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা সবাই বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক। আটকদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী, ৩ জন ছেলে এবং ৩ জন মেয়ে শিশু রয়েছে।

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুবায়ের আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সর্বদা সজাগ রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা পুশইন ঠেকাতে আমাদের টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। 

তিনি আরও জানান, আটকদের পরিচয় যাচাই শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ প শইন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ