২৫ বছরেই অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়াল বাংলাদেশ
Published: 28th, June 2025 GMT
‘খুবই হতাশাজনক’।
কলম্বো টেস্টে আজ শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের ইনিংস ও ৭৮ রানে হারের পর এটা মোটামুটি প্রায় সবারই মুখে কথা হতে পারে। নাজমুল হোসেনও অন্য কিছু বলেননি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কথাই বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল। কিন্তু সেটি অন্য প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন৯ হাজার রান, ২৪ সেঞ্চুরি, ৪৯ ফিফটি—এনামুলকে কেন দলে নেবেন না, প্রশ্ন নাজমুলের৩০ মিনিট আগেআসল প্রসঙ্গ হতে পারে, ইনিংস হার এবং আজ সকালের সেশনে মোট ২৫ মিনিটের খেলা। ৩৮.
কাল মোটামুটি সবাই টের পেয়ে গিয়েছিলেন, সকালের সেশনেই হয়তো ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতে পারে। মনের কোণে এক চিলতে দুঃসাহসও কি ছিল? লিটন দাস আছেন ক্রিজে, নাঈম আছেন এবং ব্যাটিংটা এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার একদম খারাপও করেন না। কে জানে হয়তো স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যতটা সম্ভব পাল্টা লড়াইও দেখা যেতে পারে! বাংলাদেশ দল নিয়ে এমন আশায় বুক বাঁধার সমর্থক দিন দিন কমছে ঠিকই, তবে একদমই যে কেউ ছিলেন না তা ভেবে নেওয়াটা সম্ভবত ভুল। প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ যদি থেকেও থাকেন আজ সকালের সেশনের খেলা দেখার পর তিনি কি আর কখনো এই পরিস্থিতিতে আশায় বুক বাঁধবেন? উত্তর আমরা সবাই জানি।
টেস্টে এমন হাসি খুব কমই দেখা যায় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মুখেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।