সিলেটে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু
Published: 28th, June 2025 GMT
সিলেটের বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও তিনজন। এরমধ্যে দু’জন আইউসিউতে রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
জানা যায়, গত তিনদিন ধরে হাসপাতালের আইউসিউতে ছিলেন শহরতলীর খাদিমনগর দাসপাড়া এলাকার এক ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। আজ শনিবার এ তথ্য জানান সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হলেও কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
বর্তমানে সিলেটে শনাক্তকৃত করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২০ জন। এর মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩, নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১, রাগীব রাবেয়ায় ১, দুটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ৩ জন চিকিৎসাধীন। অপর ১২ জন নিজ দায়িত্বে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ন য় ম ত য কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে