বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেবেন বলে তাঁর বিশ্বাস হয় না। তিনি বলেন, ‘ইউনূস সাহেব যেদিন ইলেকশন (নির্বাচন) দেবেন, সেদিন আমি বিশ্বাস করব। আমার নেতা তারেক রহমান বিশ্বাস করছেন, আমিও করলাম। কিন্তু ভাবসাব দেখে মনে হয় না।’

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ইটনার চৌগাংগা কামিল মাদ্রাসা মাঠে চৌগাংগা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে যদি ইলেকশন হয়, ইউনুস সাহেব আপনাকে সালাম। আপনি ঘোষণা করেন, ফেব্রুয়ারির কত তারিখ ইলেকশন দেবেন? কী বারে ইলেকশন দেবেন? কারা কারা রিটার্নিং অফিসার হবে? কত দিন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণা করা যাবে? এগুলো করেন। করেন না কেন?’ তিনি মনে করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে যেদিন এ দেশে আসতে পারবেন, সেদিন এ দেশ শান্ত হবে। তখন নির্বাচন হবে বলে মনে করেন ফজলুর রহমান।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দেশ–জাতি আজ বড় বিপদের সামনে পড়েছে। আজকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সবচেয়ে দুঃসময় চলছে। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ মানেন না, তাঁরা মাকেও মানেন না। তিনি তাঁদের ঘৃণা করেন।

চৌগাংগা ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি হয়। এতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি উম্মে কুলসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফজল র রহম ন ফজল র র রহম ন ব ব এনপ র ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদৎ, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি পারভেজ, হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ প্রমুখ।

লুৎফুজ্জামান আলিফ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর দুপুরে লুৎফুজ্জামান আলিফ ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফেরেন।

এ ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন। এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার ইমরান ইসলাম ওরফে ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার মো. সৌরভের (২৩) নামোল্লেখ করে এবং আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • “শিক্ষার শত্রু কাউছার” প্রতিবাদ সভায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী