মায়ামি–পিএসজি লড়াই: কী হতে পারে মেসিদের এ ম্যাচের শিরোনাম
Published: 29th, June 2025 GMT
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স্মৃতি ও সময় অথবা ফেলে আসা প্রেম ও বিষাদের সামনে মহাকালের নায়ক, নাকি গুরু বনাম শিষ্য—কী হবে এ ম্যাচের পূর্বকথার শিরোনাম!
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় আজ মুখোমুখি পিএসজি আর ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসির সাবেক বনাম বর্তমান ক্লাবের মুখোমুখি লড়াই—ম্যাচটির সবচেয়ে বড় ট্যাগলাইন হতে পারে এটি। কিন্তু এ ম্যাচের প্রিভিউ লিখতে গিয়ে যে কেউই হয়তো আবিষ্কার করবেন, লড়াইটির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে কথকতা! প্রেম ও বিষাদময় তেতো বিচ্ছেদের গল্প তো আছেই, আছে সাবেক গুরুর মুখোমুখি হতে যাওয়ার কাহিনি। এখানে একসময়ের সতীর্থ বা বন্ধু অবতীর্ণ হবে একে অপরের তুমুল ‘শত্রু’রূপে!
মায়ামি-পিএসজি ম্যাচ ঘিরে এসব ট্যাগলাইন আসছে মূলত লিওনেল মেসির কারণে। মেসির লম্বা আর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের এক বাঁকে দুটি মৌসুম কেটেছে প্যারিসে, পিএসজির জার্সিতে। খুব আগের কথা তা নয়। ২০২১ সালে মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে বার্সেলোনার চিরন্তন নাম পাড়ি জমান প্যারিসের ক্লাবটিতে। প্যারিসে মেসির শুরুর দিনগুলোয় তাঁর প্রতি কী প্রেম আর ভালোবাসাই না ছিল পিএসজি সমর্থকদের। সেখানে তাঁর নামে তোলা হতো স্লোগান। কিন্তু মেসিকে ঘিরে পিএসজির যে স্বপ্ন ছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সেই স্বপ্ন পূর্ণতা না পাওয়ায়, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়ে গেলেন ‘খলনায়ক’। তাঁকে দুয়ো দিতেও দ্বিধা করেনি পার্ক দো প্রিন্সেসের দর্শক!
প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে পিএসজি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।
যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।
খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।
মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।
আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।
আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮