চট্টগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলেন লোকজন
Published: 29th, June 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন দেশব্যাপী আলোচনা চলছে, তখন চট্টগ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁর নাম মো. রায়হান (৩২)। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে নগরের আকবর শাহ থানার বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়েকে গলায় ছুরি ধরে বাসার পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যান রায়হান, সেখানে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করেন। বিক্ষুব্দ লোকজন তাঁকে মারধর করেন।
কিশোরীর বাবা আরও বলেন, রায়হান এর আগেও ধর্ষণ করেছিলেন এক নারীকে। গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে চার মাস কারাভোগের পর আবার এলাকায় ফিরে আসেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নেত্রকোনায়। এখানে এক আত্মীয়ের বাসায় থাকেন রায়হান।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পিটুনিতে আহত হওয়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার শিকার কিশোরীকে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা
নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায় বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।
পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ