কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন দেশব্যাপী আলোচনা চলছে, তখন চট্টগ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁর নাম মো. রায়হান (৩২)। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে নগরের আকবর শাহ থানার বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়েকে গলায় ছুরি ধরে বাসার পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যান রায়হান, সেখানে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করেন। বিক্ষুব্দ লোকজন তাঁকে মারধর করেন।

কিশোরীর বাবা আরও বলেন, রায়হান এর আগেও ধর্ষণ করেছিলেন এক নারীকে। গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে চার মাস কারাভোগের পর আবার এলাকায় ফিরে আসেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নেত্রকোনায়। এখানে এক আত্মীয়ের বাসায় থাকেন রায়হান।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পিটুনিতে আহত হওয়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার শিকার কিশোরীকে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

মধুবাগের একটি বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মধুবাগের একটি বাসা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আকবর হোসেন ওরফে অপু (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পূর্ণ চিসিম বলেন, খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মধুবাগের পঞ্চম তলায় একটি ফ্ল্যাটের খাটের ওপর থেকে আকবর হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরে মরদেহটি আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসআই পূর্ণ চিসিমের করা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আকবর হোসেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেতে পারেন। এ ছাড়া মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।

আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আকবর হোসেনের ভগ্নিপতি আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছরের প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে নিয়ে আকবরের স্ত্রী মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ফুলগাছিতে থাকেন। আর আকবর হোসেন তাঁর বোনের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে থাকতেন। আকবর তাঁর ভগ্নিপতির একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। গতকাল রাতের খাবার খেয়ে আকবর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যান। গভীর রাতে আকবরকে ডেকে কোনো শব্দ পাননি তাঁর বোন। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় হাতিরঝিল থানায় জানালে পুলিশ এসে আকবরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মধুবাগের একটি বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার