নারায়ণগঞ্জে ঠিকাদারি নিয়ে বিরোধে বিএনপির নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর
Published: 29th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের জেরে মহানগর বিএনপির সাবেক এক সহসভাপতিকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার হরিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ওই নেতাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাঁকে শহরের বি বি রোডে অবস্থিত একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপির ওই নেতাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মারধর করে তাঁর পরনের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আজ দুপুরে বন্দর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবস্থিত ৪১২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জনবল সরবরাহের ঠিকাদারি কাজের জন্য ওই বিএনপি নেতা ও তাঁর অনুসারীরা সেখানে যান। সেখানে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকে মারধর করে তাঁর পরনের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ওই বিএনপি নেতা হরিপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদারি কাজ নেওয়ার জন্য সেখানে গেলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মারধর করেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ওই বিএনপি নেতার। ওসমান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করলেও এলাকায় প্রভাব খাটানোসহ আধিপত্য বিস্তার করতেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বিএনপি নেতা সাংবাদিকদের বলেন, হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জনবল সরবরাহের কাজ পেয়েছেন তিনি। আজ সেখানে দরপত্রে স্বাক্ষর করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা বজলুর রহমান ও তাঁর লোকজন তাঁকে মারধর করে পা ভেঙে দেন। তাঁর পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে ফেলেছেন। কী কারণে হামলা হয়েছে, তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘ওদের যদি কোনো চাওয়া–পাওয়া থাকত, ওরা আমাকে বলতে পারত। আমি টেন্ডারে সরকারি কাজ পেয়েছি। সেই কাজ করতে গিয়ে আমার ওপর হামলা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন জেলা মোটরযান শ্রমিক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন। আলাউদ্দিনের কাজের দালালি করতে গেলে ওই আওয়ামী লীগের দোসরকে গণপিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। তিনি বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র আওয় ম উপজ ল ওসম ন ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
নাভানা সিটির পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে : মামুন মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডের কাশেমপাড়া নাভানা সিটি বালুর মাঠ কোরবানীর পশুর হাট কমিটির ঈদ পুনর্মিলনী ও সম্মানিত ক্রেতবৃন্দের পুরস্কার আর ওয়ান ফাইভ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের কাশেমপাড়া নাভানা সিটর বালুর মাঠে এ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এড. রাকিবুর রহমান সাগরের সভাপতিত্বে উক্ত অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে প্রধান বক্তা হিসেব উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভুঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মনির হোসেন, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেত ইমাম হেসেন বাদল ও ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা কাজী মাজেদুল ইসলাম মাজেদসহ হাট কমিটির নেতৃবৃন্দস স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “নাভানা হাট কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে নারায়ণগঞ্জের পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনসম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কোরবানির হাট যে আরও আকর্ষণীয় ও আধুনিক হতে পারে—এই আয়োজন সেটি প্রমাণ করেছে।র্যাফেল ড্রতে ৯ জনকে দিনার সেট এবং নাসিক ৯নং ওয়ার্ডের আবুল হোসেন নামে এক ক্রেতা আর ওয়ান ফাইভ মোটর সাইকেল বিজয়ী হয়েছেন। আবুল হোসেন ৮৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি গরু ক্রয় করছিলেন।