কার্যকরী কমিটির সভা চলাকালে বহিরাগতদের হামলা, মারধর
Published: 30th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যকরী কমিটির সভা চলাকালে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে কর্মচারীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সোমবার দুপুরে জেলা শহরের মসজিদ রোড এলাকায় অবস্থিত চেম্বার ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আগামী জুলাই মাসে এফবিসিসিআইর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স ‘এ’ শ্রেণির হওয়ায় এফবিসিসিআইর কাছে ছয়জন ভোটারের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে সভা করে চেম্বারের বর্তমান কমিটি। ভোটারদের নাম নির্বাচন করতে ২০ সদস্যের কমিটির মধ্যে সাতজন সদস্য এ সভায় বসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর ও বাবুল মিয়া, পরিচালক আজিজুর রহমান, জুয়েল খান, তানভির আহমদ, জাবেদুল ইসলাম।
সভা চলাকালীন সময়ে একদল বহিরাগত অতর্কিতভাবে চেম্বারে প্রবেশ করে সভা বন্ধ করতে বলেন। তাদের সঙ্গে চেম্বারের সদস্য কাজল মিয়াসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বহিরাগতদের সঙ্গে সভায় উপস্থিত লোকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেম্বারের সচিব আজিম উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বহিরাগতরা। পরে আরেকটি কক্ষে ঢুকে হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে টেনেহেঁচড়ে বের করে মারধর করেন। এ সময় তাঁর পকেট থেকে ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
এ ঘটনার ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। এতে দেখা গেছে, সভাপতি আজিজুল হকসহ সাতজন সভা করছিলেন। সে সময় চেম্বারের সদস্য কাজল মিয়াসহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হন। কাজল সভাপতি আজিজুলের দিকে এগিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক সভার রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। চেম্বারের অন্যান্য সদস্যের বাধার কারণে তিনি তা নিতে পারেননি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চেম্বারের সাধারণ সদস্য কাজল মিয়া বলেন, এই কমিটির অধিকাংই আওয়ামী পন্থি লোক। তারা চেম্বারে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও চুরি করেছে। সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি কাজী জাহাঙ্গীরসহ অধিকাংশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা কোনো সভা করেনি। তারা সভা করতে চাইলে সবাইকে জানিয়ে সভা করুক। এভাবে চুপিসারে কেন।
জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, তারা সভা করে চলে আসার পর একদল লোক চেম্বারে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে।
সদর থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় উপস থ ত আজ জ ল কম ট র সদস য এ সময় ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদৎ, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি পারভেজ, হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ প্রমুখ।
লুৎফুজ্জামান আলিফ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর দুপুরে লুৎফুজ্জামান আলিফ ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফেরেন।
এ ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন। এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার ইমরান ইসলাম ওরফে ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার মো. সৌরভের (২৩) নামোল্লেখ করে এবং আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।