রান উৎসব তো একেই বলে!
৮ উইকেটে ৮২০ রান করে ইনিংস ঘোষণা। যেনতেন ম্যাচে নয়, কীর্তিটা গড়া হয়েছে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ানের ম্যাচে। আর সেই কীর্তি গড়েছে কাউন্টি ক্লাব সারে, প্রতিপক্ষ ডারহাম। আর রানের এই পাহাড় গড়ে সারে ভেঙে দিয়েছে নিজেদের ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান তোলার ১২৬ বছরের পুরোনো রেকর্ডও। ১৮৯৯ সালে সমারসেটের বিপক্ষে ৮১১ রান করেছিল সারে, এত দিন ওটাই ছিল কাউন্টি ক্রিকেটে ওদের সর্বোচ্চ ইনিংস।

আরও পড়ুনএবারও ডারউইনে টি–টোয়েন্টি দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, আছে পাকিস্তান আর নেপালও১ ঘণ্টা আগে

চার দিনের ম্যাচটা শুরু হয়েছিল গত রোববার। গতকাল সোমবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সকালটা সারে শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ৪০৭ রান নিয়ে। কে জানত, সেদিনই তারা লিখবে নতুন ইতিহাস!
আর এই ইতিহাস গড়ায় সবচেয়ে বড় নায়ক ইংল্যান্ডের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলা ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ডম সিবলি। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ৪৭৫ বল খেলে সিবলি করেছেন ৩০৫ রান, তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রিশতক। ২৯টা চার আর ২টা ছক্কা। ধৈর্য, দক্ষতা আর স্নায়ুর চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন যেন।

৮২০ রান করে রেকর্ড গড়েছে সারে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ