রক্ত দিয়েও সাংবাদিকদের ঋণ শোধ করতে পারব না: দুলু
Published: 5th, July 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “নিজের শরীরের রক্ত দিয়েও সাংবাদিকদের ঋণ আমি পরিশোধ করতে পারব না। কারণ, এই সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমেই জেলা পর্যায়ের ছাত্রনেতা থেকে আমি এমপি, মন্ত্রী ও বিএনপির এই পর্যায়ের নেতা হয়েছি। তাই, আমি সারাজীবন সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোনো নেতাকর্মী সাংবাদিকদের কর্মকাণ্ডে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের কলম চালাতে পারবেন।”
শনিবার (৫ জুলাই) নাটোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নাটোর প্রেস ক্লাবের চার যুগপূর্তি উৎসব উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জেলা প্রতিনিধি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবনের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মো.
আরো পড়ুন:
১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্ববধানে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব
জুলাই যোদ্ধার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার: বাংলাফ্যাক্ট
এর আগে প্রেস ক্লাব চত্বরে বেলুন উড়িয়ে অতিথিরা বর্ষপূর্তি উৎসবের সূচনা করেন এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিরা ৪৮ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে নাটোর প্রেস ক্লাবের ৪৮ বছরপূর্তি উদযাপন করেন।
এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরো বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নাটোর প্রেস ক্লাব নির্মাণে অর্থসহ জায়গার বন্দোবস্ত করে দেন। আগামীতে নাটোর প্রেস ক্লাবের অবস্থান আরো সুসংহত হবে। আমরা সব সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে থাকতে চাই।
ঢাকা/আরিফুল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রথ উৎসব
উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। এ উপলক্ষে রাজধানী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্টো রথটান ছাড়াও পদাবলি কির্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, ধর্মীয় বৈদিক নৃত্য, ভাগবতকথা, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ২৭ জুন রথ শোভাযাত্রা, রথের মেলাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিল। রথযাত্রার ৯ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা।
গতকাল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে স্বামীবাগের ইসকন আশ্রম মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য উল্টো রথের শোভাযাত্রা আয়োজন করে। দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উল্টো রথযাত্রা উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
আলোচনা সভার পর বিকেলে বরণানুষ্ঠান ও পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনটি বিশাল রথে শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর প্রতিকৃতিসহ উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা ও উলুধ্বনির মধ্যে সব বয়সের শত শত নারী-পুরুষ বর্ণাঢ্য সাজে এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি পলাশীর মোড় থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন, শাপলা চত্বর, টিকাটুলি ও জয়কালী মন্দির হয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
এ ছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দিরেও উল্টো রথযাত্রা হয়।
এদিকে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামে নগরীর তুলসীধাম মন্দিরের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটি, নন্দনকানন শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির এবং শ্রীকৃষ্ণ ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে আলাদা আলাদাভাবে উল্টো রথযাত্রা বের হয়। এসব আয়োজনে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে এই রথযাত্রার প্রচলন।