কীসের আকর্ষণে ক্যান্ডিতে ঘুরতে আসে মানুষ
Published: 7th, July 2025 GMT
এমন নয় যে শিরোনামের প্রশ্নটির উত্তর জানা নেই। ক্যান্ডির ইতিহাস–ঐতিহ্য, পাহাড়, গাঢ় সবুজ প্রকৃতি, নানা রকম পাখি, মনোরম আবহাওয়া—এখানে বেড়াতে আসার আকর্ষণের তালিকা করতে গেলে অনেক লম্বাই হয়ে যাবে তা। বরং উল্টো করে বলা উচিত, কেন ক্যান্ডিতে ঘুরতে আসবে না মানুষ!
এক ‘টেম্পল অব দ্য টুথ’কে ঘিরেই যে কত আগ্রহ, সে তো ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ কাভার করতে এসেই দেখে গেছি। বৌদ্ধধর্মালম্বীরাই শুধু নন, বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা সব ধর্মের সব পর্যটক একবার হলেও দেখে যান ক্যান্ডি লেকের পাড়ের এই প্রাচীন মন্দির, যেখানে গৌতম বুদ্ধের দাঁতের নিদর্শন রাখা আছে বলে বিশ্বাস বৌদ্ধদের। অবশ্য সেই দুর্লভ বস্তু দেখার সুযোগ মেলে প্রতি পাঁচ বছরে একবারই।
আরও পড়ুনবড় কিছুর আশায় স্বস্তির শহরে মিরাজরা২১ ঘণ্টা আগে১৯৮৮ সালে ইউনেসকো শ্রীলঙ্কার একসময়ের রাজধানী ক্যান্ডিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মূলত ওল্ড রয়্যাল প্যালেস কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা ‘টেম্পল অব দ্য টুথ’-এর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের সুবাদেই।
তারপরও মনে হলো, ক্যান্ডি ঘুরতে আসা দু–চারজনেক জিজ্ঞাসা করেই দেখা যাক, কেন তাঁরা বেড়ানোর জন্য এই শহরকে বেছে নিলেন? তাঁদের মুখ থেকেই শোনা যাক, কার আগ্রহের জায়গা কোথায়।
ক্যান্ডিতে পাখি দেখতে এসে মন খারাপ করে ফিরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। পুরো শ্রীলঙ্কাই নানা রকম পাখির অভয়ারণ্য, ক্যান্ডি সম্ভবত আরও বেশি। সন্ধ্যা যত ঘনিয়ে আসে, শহরে ততই বেড়ে যায় পাখির কিচিরমিচির।কী সৌভাগ্য! রাতে প্রশ্ন ঠিক করে আজ সকাল সকাল উত্তর খুঁজতে রাস্তায় নেমে একেবারে ঘরের দরজায় পেয়ে গেলাম এক কপোত–কপোতীকে! সুবেশী দম্পতি উল্টো দিকের লেকঘেঁষা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কুইন্স হোটেল পেছনে রেখে নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। আগের রাতেও তরুণ এক টিকটক গ্রুপকে শুটিং করতে দেখেছি ক্যান্ডিতে আমার ঠিকানা এই হোটেলের সামনে।
ক্যান্ডির পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ টেম্পল অব দ্য টুথ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপে ভিনিসিয়ুসদের সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইতে চান আনচেলত্তি
২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে এখন প্রস্তুতিতে পূর্ণ মনোযোগী ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তবে আনচেত্তি যে শুধু ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তা নয়, বিশ্বকাপে ভিনিসিয়ুসদের সঙ্গে ব্রাজিলের জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন এই ইতালিয়ান কোচ।
গতকাল ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জাতীয় সংগীত গাওয়ার ইচ্ছা, বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ও লক্ষ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন আনচেলত্তি। ব্রাজিলের জাতীয় সংগীতে মুগ্ধ আনচেলত্তি ফিফাকে বলেন, ‘জাতীয় সংগীত শোনা এবং সেলেসাওয়ের (ব্রাজিল দলের) হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা যেকোনো খেলোয়াড় বা কোচের জন্যই খুব বিশেষ এক অনুভূতি। আমি এটা শিখতে চাই। খেলোয়াড়দের সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য আমার হাতে এক বছর সময় আছে। আমি সত্যিই এটা করতে চাই।’
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জাতীয় সংগীত গাইতে চান আনচেলত্তি