রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সহায়তার লক্ষ্যে ‘ট্রান্সকম কেয়ারস’ শীর্ষক জরুরি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে ট্রান্সকম লিমিটেড।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ রক্ত। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ট্রান্সকম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত হলো রক্তদান কর্মসূচি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা—দুই পালায় চলে এই রক্তদান। এতে অংশ নেন ট্রান্সকমের বিভিন্ন বিজনেস ইউনিটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই কর্মসূচি পরিচালনা করেছে ট্রান্সকম লিমিটেড। মানবিক এই উদ্যোগ সম্পর্কে ট্রান্সকম লিমিটেডের করপোরেট হেড অব এইচআর এম সাব্বির আলী বলেন, ‘এ রকম জাতীয় দুর্যোগের সময়ে দাঁড়িয়ে, যেখানে শতাধিক মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা জীবনের সাথে লড়াই করছে, আমরা চেয়েছি শুধু শোকপ্রকাশ ছাড়াও অর্থবহ কিছু করতে। নিজ নিজ স্থান থেকে এভাবে এগিয়ে আসা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ট্রান্সকম কেয়ারস’ নামের এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ট্রান্সকম লিমিটেড চায় যেকোনো প্রয়োজনে কার্যকর ও মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নিরলসভাবে দেশের মানুষের পাশে থাকতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ন সকম ল ম ট ড

এছাড়াও পড়ুন:

আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহতদের বিশেষ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শেষে দেশে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসক দল।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের দলটি ঢাকা ছেড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশে আসে এই চিকিৎসক দল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু মানুষ হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভারতীয় চিকিৎসক দলটি জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। তারা মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন এবং জটিল কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মতামত বিনিময় করেন।

ভারতীয় চিকিৎসকরা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গৃহীত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ইনস্টিটিউটের বার্ন কেয়ার ইউনিট ও ক্রিটিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতার প্রশংসা করেন তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে ভারত আরো চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে ভারতীয় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হবে।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, দেশটির মেডিকেল টিমের এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সহানুভূতির চিরন্তন বন্ধনের প্রতিফল।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 
  • আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা
  • মাইলস্টোনে বিমান দূর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য মহানগর সাংস্কৃতিক জোটের দোয়া
  • জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ জাতি ভুলে যেতে পারে না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের জন্য জিয়া সৈনিকদলের দোয়া