রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সহায়তার লক্ষ্যে ‘ট্রান্সকম কেয়ারস’ শীর্ষক জরুরি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে ট্রান্সকম লিমিটেড।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ রক্ত। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ট্রান্সকম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত হলো রক্তদান কর্মসূচি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা—দুই পালায় চলে এই রক্তদান। এতে অংশ নেন ট্রান্সকমের বিভিন্ন বিজনেস ইউনিটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই কর্মসূচি পরিচালনা করেছে ট্রান্সকম লিমিটেড। মানবিক এই উদ্যোগ সম্পর্কে ট্রান্সকম লিমিটেডের করপোরেট হেড অব এইচআর এম সাব্বির আলী বলেন, ‘এ রকম জাতীয় দুর্যোগের সময়ে দাঁড়িয়ে, যেখানে শতাধিক মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা জীবনের সাথে লড়াই করছে, আমরা চেয়েছি শুধু শোকপ্রকাশ ছাড়াও অর্থবহ কিছু করতে। নিজ নিজ স্থান থেকে এভাবে এগিয়ে আসা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ট্রান্সকম কেয়ারস’ নামের এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ট্রান্সকম লিমিটেড চায় যেকোনো প্রয়োজনে কার্যকর ও মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নিরলসভাবে দেশের মানুষের পাশে থাকতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ন সকম ল ম ট ড

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫