এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে সারাদেশে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। তবে বরাবরের মতো ঈর্ষণীয় সাফল্য ধরে রেখেছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ। এ বছর কলেজটি থেকে ৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪৭ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কলেজের ৪৭ পরীক্ষার্থীর সবাই গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ভালো ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অতীত। এখানে শুধুমাত্র লেখাপড়া নয়, শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলা অনুশীলন করা হয়ে থাকে। এছাড়া সৃজনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ সকলের আন্তরিক দোয়া কামনা করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য ড ট কল জ এসএসস ক য ড ট কল জ কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ছেলেদের আবাসিক হল, শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক হয়ে কয়েকটি সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামি ছাত্রশিবির ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় সংগঠনটির মুখপাত্র নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ‘যুবদলের কর্মীরা এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই৷ নতুন বাংলাদেশে কোনো নৃশংসতা, চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেবো না। পুরাতন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা মেনে নেবো না। আপনারা যদি না শোধরান, তাহলে ক্ষমতায় আসার পর কতদিন টিকে থাকবেন, তা দেশের ছাত্র-জনতা ঠিক করে দেবে।’
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক সাফায়েত মীর বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, টাকা পাচার, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো পুরাতন বন্দোবস্ত চালু করতে চায়, আওয়ামী লীগের মতো যারা আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে তাদেরও একই পরিণতি হবে। আপনাদের এই অন্যায়, খুন, চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেবো না।’