পুরান ঢাকায় গলায় খাবার আটকে শিশুর মৃত্যু
Published: 25th, July 2025 GMT
রাজধানীর পুরান ঢাকায় শহীদনগরে গলায় খাবার আটকে মোছা. রাফিয়া নামের তিন বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে শহীদনগরে ভাড়া বাসায় রাফিয়াকে চায়ে ডুবিয়ে পরোটা খাওয়ানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।
এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাফিয়া ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। রাফিয়ার বাবা সুজন খাঁ পেশায় ভ্যানচালক।
রাফিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বাবা সুজন খাঁ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাফিয়াকে চায়ে ডুবিয়ে পরোটা খাওয়াচ্ছিলেন তার মা (রাত্রি বেগম)। একপর্যায়ে গলায় পরোটার অংশ আটকে গেলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় রাফিয়াকে পানি পান করানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাফিয়াকে বেলা সোয়া একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.
চিকিৎসক রাফিয়াকে মৃত ঘোষণার পর মা রাত্রি বেগম মেয়েকে কোলে নিয়ে নির্বাক তাকিয়েছিলেন। পাশে বসে বাবা দুই হাত নিজের মাথায় রেখে কাঁদছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র কেয়ার পদত্যাগ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।
খাদিজা আক্তার কেয়া মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কবির হোসেনের মেয়ে। তিনি বর্তমানে কোম্পানিগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিজের পোস্টে কেয়া লেখেন, “যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
আরো পড়ুন:
আগস্টে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা
যশোরে শিক্ষা বোর্ড ও ডিসি অফিসের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তিনি আরো বলেন, “আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি প্লাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এইসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ থেকে এই প্লাটফর্মের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।”
কেয়া তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে তিনি সবসময় সংগ্রামে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাবো। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।”
কেয়ার এ পদত্যাগে ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।
ঢাকা/রুবেল/বকুল