তোমার রাঢ়বাক্য ঠোঁট পেতে নেবে বোবাকালাও
Published: 6th, August 2025 GMT
চর্যাপদের গাই
—রামায়ণ পড়ার পর যে শ্লোকে কেউ অগ্নির তরজমা করে, যে শ্লোকে
কেউ সারসের আবাস বানায়, তাতেও মানুষের গন্ধ উৎকট হয়ে থাকে
—মাথার মধ্যে কতগুলো দ্বৈরথ জেগে থাকে, ঘুমিয়ে থাকে, লাফায়
আর আমরা ছড়িয়ে পড়ি উপত্যকায়, যেখানে চর্যাপদের গাই চরে বেড়ায়
শ্লোক শ্লোক মেঘের নিচে, হৃদয়ের গ্রীষ্মকালে নামে মেঘমল্লার, শীতল
পাহাড়ি সমীরণ—
—কেকার সরোদ ফেলে, বাল্মীকির আসর ছেড়ে বায়েত নেয় তারা
অর্থবিজ্ঞান আর স্ফীত পুঁজির মোকামে রোজ রোজ—তারাবানু অধরা
—সুখের পিচ্ছিলতা নিয়ে তারা সিংহাসনে উঠে যায় বিপুল শেফালি
মাড়িয়ে—তারা গরিবের মাঝে মৌরলা ছিটিয়ে নিয়ে যায় জায়ান্ট ফিশ.
তাদের মুখে ম্যাজেন্টা ইবলিশ কিলবিল করে, লাল হয়ে যায় দুপুরমণি...
কাফেলার ছায়া—কাফেলার ছায়ায় যে জন্মদাগ গেঁথে থাকে তার কাছে মানুষজন্ম বড়ই বৃথা, তবু
সিংহ বড়ই সভ্য—ইকোসিস্টেমের মর্ম বোঝে ভালো... সমস্ত পাপ পরম সিস্টেমের
কর্তার পায়ে ঢেলে দিয়ে মাংস ভক্ষণে নামে, আর ভাবে—সিংহের বিপুল শক্তি আর
দাঁতের ধারই তার বিশেষ জ্ঞান
—প্রব্রজ্যার সাথে নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, পশু-পাখি, বৃক্ষ-লতাপাতার বেশ ভাব...
তাদের মাঝে নাকি গভীর ও ঋষিক প্রেম চলে—এই কথা হাওয়ায় রটিয়ে যায়;
সম্ভবত পরিব্রাজকেরাই আকাশের নীল জামার দুঃখ সেলাই করতে পারে, পারে
মাটির গন্ধ দিয়ে অর্গানিক পারফিউম বানাতে
শালদুধ—মানুষ কি বর্ষার প্রাচুর্য নিয়ে দাঁড়াতে পারে না মানুষের পাশে?
হাতের মুঠোতে শর্জবন নিয়ে পারে না সাজাতে রাষ্ট্রের সংসার?
দেশ-সমাজ-মানুষ-মানুষ বন্ধন পারে না হতে সাগর-নদী-মাটির
সাবলীল সম্মিলন?
—আদৌ কি জঙ্গল অসভ্য? সিংহপাল কি সত্যিই সন্ত্রাস? আর
সিংহীর শালদুধ কি নিদর্শন নয়? মানুষ কি অরণ্য হতে পারে না?
—অণুর জমাট নিয়েই অজস্র প্রশ্ন খাকি পোশাক পরে জেগে আছে...
মানুষ—বেড়ালের সভ্যতায় জীবন পার করতে চায়—সরলতা
খেয়ে বাঁচা এক প্রাণী—শালদুধ নষ্ট করা আমার বন্ধু, আমার গোত্র...
সাদা ঋতুর সাপ—ডোরাকাটা নদীর দিকে রায়তের গমন কানে বাজে কারও—
আসে ঋষভডাক—অতএব কানে ও মনে রোজ রোজ জন্মায়
পচা ডিমের গন্ধ আর সাদা ঋতুর সাপ...
—গানবান ভাগীরথীর কোল পেরিয়ে ভাঁড়ের সংসারে নামে যেন
শাল্মলির মাঠ—ভস্মবন...রেফারির ডাক ছড়িয়ে গায়—প্রান্তর...
—যাওয়া দূরতম কণিকার ন্যায়...মৃদু রুলিং—টাইফয়েডে কাতর
শহর—হৃদয় থেকে পড়া হলুদ রোগ...অস্ত্র কোনো দিন হয় না
ধর্মান্তরিত কাফের...মেমব্রেন উড়ে গেলে পরে ফাঁকায় জাগে
ভেতরের অন্তর
ইজমতাড়না—ইজমতাড়নায় মানুষ মূল হারানো চরকায় ঘুরপাক খায়, আর
খেতে খেতে বৈতালে নামে একদিন...এর চেয়ে পোকাও ভালো
ইজমটিজমের আসর বসায় না এবং তা নিয়ে মহারণ বাধায় না
—সেলাই করা জুতার দিনেও এতটা নিঃস্ব মনে হয়নি নিজেকে
গার্হস্থ্য পার হতেই গিয়ে বুঝলাম—মানুষ মূলত মৎস্যমুখী—
সমুদ্রের দিকেই ধাবিত, যেখানে গার্হস্থ্য পাখায় হাওয়া রেসে...
—জোড়াপথের পাশে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বাজাতে পারলে
শিষ নত হবে, তোমার রাঢ়বাক্য ঠোঁট পেতে নেবে বোবাকালাও
—কোনো একজন নিভৃত মনে রেখেছে ডাকহরকরার লন্ঠন
প্রেয়সীর রক্তচিঠির গন্ধের মতন; ভাঙা দিনে মাথা রাখে পুরোনো
সম্পর্কের মতো ডাকবাক্সে, যেখানে তোমার অশ্রুর গন্ধ ভাসে...
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তনের দাবিতে ১৩ প্রতিষ্ঠানের স্মারকলিপি
শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুর সেতুর পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কালীর বাজার ও দিগুবাবুর বাজার এলাকার ১৩ টি ব্যবসায়ী, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে স্থানীয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার মাধ্যমে এ স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করার প্রয়োজনে এর উপর কদম রসুলসেতু নির্মাণের সংবাদটিতে আমারা আনন্দিত এবং পাশাপাশি উদ্বিগ্ন।
কদম রসুল সেতুটির প্রকল্প নকশায় আমরা দেখতে পাই এর পশ্চিমাংশের মুখটি শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক ফলপট্টি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে এসে নেমেছে।
এইটি এভাবে বাস্তবায়িত হলে তা আমাদের ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য একটি ভয়াবহ দুর্ভোগের কারণ হবে বলে আমরা মনে করি। এমনিতে এক-নং রেল গেট থেকে পুরো সিরাজ উদদ্দৌলা সড়কটিতে সব সময় অস্বাভাবিক ট্র্যফিক জ্যাম থাকে।
এখানে শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় স্কুল নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, পাশে নারায়ণগঞ্জ কলেজ, এর সাথে শহরের দুইটি বৃহত্তর বাজার দিগুবাবু বাজার ও কালীর বাজারে প্রদেশের মুখ।
বড় বিষয় জায়গাটি যেমনি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক আবার দেশের বৃহত্তকর রঙ ও সুতার বাজার টানবাজারে প্রবেশেরও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যার ফলে এখানে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে।
সর্বোপরি এই সড়কেই একটি রেলক্রসিং থাকাতে বিভিন্ন সময় এখানে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমনি একটি ব্যস্ততম সড়কে কদম রসুল সেতুর মুখ যদি যুক্ত হয় তা হলে সে সেতু থেকে যানবাহন সড়কে নামার ক্ষেত্রে যেমনি সংকটে পড়বে অন্যদিকে এই পুরো এলাকাটিই সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
আমরা অতি দ্রুত এই সেতুটির পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। অপরিকল্পিত উন্নয়ন জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি করা ছাড়া কোন সুফল বয়ে আনে না। যেনতেন ভাবে প্রকল্প সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মানুষের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি না করার জন্য আমরা আপনার যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্মারকলিপি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কালীর বাজার কমিটি, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, আবদুল্লাহ (র.) মাজার ও মসজিদ, বায়তুস সালাত জামে মসজিদ, শ্রী শ্রী জয় কালী মন্দির, কালীর বাজার বৃহত্তর ঔষধ মার্কেট, শ্রী শ্রী শিব শীতলা তারা মায়ের মন্দির, এন ইসলাম রেলওয়ে মার্কেট, নারায়ণগঞ্জ শপিং কমপ্লেক্স, কদম আলী মস্তান খানকা শরীফ, কালীর বাজার ফ্রেন্ডস মার্কেট, হাজী তারা মিয়া মার্কেট ও কালীর বাজার ইলেক্ট্রিক কল্যাণ সমিতি।
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন, ডা. সাইফুল ইসলাম, কালীর বাজার ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম, তানভীর হোসেন, মো. শফিউদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. নাজির খান, এলাকাবাসী মো. সুমন চৌধুরী, জুয়েল হোসেন প্রমুখ।