গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার
Published: 9th, August 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার চাটমোহন উপজেলার পাঁচবারিয়া এলাকার ফয়সাল হাসান (২৩), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর এলাকার শাহ জামাল (৩২) ও সুমন (২৬)।
এর আগে এ ঘটনায় এক দম্পতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন ও মো.
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।
আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ২ ঘণ্টা আগেমহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাঁচ থেকে ছয়জন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। পরে দুর্বৃত্তরা দোকানে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছু পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ক্যমেরার ফুটেজ পায় পুলিশ। এরপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান গতকাল রাতে তিনজনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনপ্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা০৭ আগস্ট ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ ক আস দ জ জ ম ন গ র প ত র কর ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে তিনজনকে হত্যার প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ঘিরে সংঘর্ষে তিনজনকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাগিব আহসান বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর আগ্রাসী ভূরাজনৈতিক তৎপরতার কারণে লুসাই পর্বতমালাজুড়ে ক্রমাগত নিরাপত্তাঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণসহ সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির জন্য পার্বত্য অঞ্চলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীন রহমান বলেন, সংবাদপত্র থেকে শুরু করে সরকারি নথিপত্র সর্বত্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পরিচয় মুছে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান। বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে একটি মিছিল হয়।