‘নতুন এবি ডি ভিলিয়ার্স’ —এই ট্যাগলাইনটা ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের জন্য অনেকবার শোনা গেছে। কিন্তু ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিনি প্রমাণ করলেন, নিজের গল্প তিনি নিজেই লিখতে জানেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেললেন টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ইনিংস, মাত্র ৪১ বলে করলেন সেঞ্চুরি। যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম। আর ৫৬ বলে ১২টি চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। যা টি-টোয়েন্টিতে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ। তার আগে ফাফ ডু প্লেসিস ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৬ বলে করেছিলেন সর্বোচ্চ ১১৯ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার দ্রুততম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান:
৩৫ বলে: ডেভিড মিলার, বাংলাদেশের বিপক্ষে (২০১৭),
৪১ বলে: ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে (২০২৫),
৪৩ বলে: কুইন্টন ডি কক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে (২০২৩)।

মাত্র ২২ বছর বয়সেই ব্রেভিস ভেঙে দিলেন রিচার্ড লেভির রেকর্ড, যিনি এতদিন ছিলেন দেশের সবচেয়ে কম বয়সী টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান।

আরো পড়ুন:

শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, ভাঙলেন শামির রেকর্ড

১৭ বছর বয়সেই অধিনায়ক হয়ে ‘জ্যাক ভুকুসিচের’ ইতিহাস

সবচেয়ে কম বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান সেঞ্চুরিয়ান (টি–টোয়েন্টি):
২২ বছর ১০৫ দিন – ডেওয়াল্ড ব্রেভিস,
২৪ বছর ৩৬ দিন – রিচার্ড লেভি,
২৮ বছর ১৪১ দিন – ডেভিড মিলার।

ম্যাচে ৫ম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ৪৪ রানে ২ উইকেট হারায়, তখন ব্যাট করতে নামেন ব্রেভিস। শুরুটা বেশ সতর্কভাবেই করেন। প্রথম ১২ বলে মাত্র ১৪ রান। কিন্তু এরপর যেন ঝড় বয়ে যায়। পরের ২৯ বলে ৮৭ রান  তোলেন, তাতেই গড়ে ফেলেন ইতিহাস।

অবশ্য ৫৬ রানে থাকাকালীন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ ছাড়েন অজিরা, আর সেই ভুলের কঠিন মূল্য চুকাতে হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১২টি চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। তার ঝড়ো ও রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৭ উইকেটে ২১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রীর শরীরে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেওয়ার প্রস্তাব খুবি শিক্ষকের

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. রুবেল আনসারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

ব্যক্তিগত প্রশ্ন, অশালীন প্রস্তাব, একান্ত সাক্ষাতের চাপ এবং যৌন সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই ডিসিপ্লিনের এক ছাত্রী।

গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দেন তিনি।

আরো পড়ুন:

উপাচার্যের মায়ের মৃত্যুর কারণে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

রাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি মোছা. তাসলিমা খাতুনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ছাত্রী উল্লেখ করেন, দুর্ঘটনার কারণে নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে না পারায় শিক্ষক ড. রুবেল আনসারের সঙ্গে কথা বলতে যান তিনি। এ সময় ওই শিক্ষক তাকে নানা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন এবং অস্বস্তিকর মন্তব্য করেন। ওই শিক্ষক বলেন ‘তোমার হাত যদি পরীক্ষার আগে ঠিক না হয়, আমি ফু দিয়ে ঠিক করে দেব।’ এছাড়া খুলনায় নতুন হওয়ায় তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও দেন।

ভুক্তভোগীর দাবি, ওই শিক্ষক পরবর্তীতে বারবার তাকে মেসেজ দিয়ে একসঙ্গে বাইরে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে নিরালা মোড়ে দেখা করার সময় ওই শিক্ষক তাকে বলেন, ‘আমি তোমাকে চাই… যেমন একজন পুরুষ একজন নারীকে চায়।’ এছাড়া তিনি প্রস্তাব দেন, একটি পরিচিত বাসায় নিয়ে যাবেন, যেখানে অন্য কেউ থাকবে না।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী জানান, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষক গাড়ির ভেতর তার হাত চেপে ধরেন এবং বলেন, ‘আজ না হোক কাল তোমার সারা শরীরে আমার ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেবই।’ এছাড়া তিনি ফলাফল বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভনও দেন।

এ ঘটনার পর থেকে ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ওই শিক্ষক অতীতেও এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দিলে আমি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার সাহস পাই।”

অভিযুক্ত শিক্ষক ড. রুবেল আনসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। ওই ছাত্রী অসুস্থ থাকায় তার বাবা আমাকে একবার কল দিয়েছিলেন। সব শিক্ষার্থীই আমার কাছে সমান।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, “অভিযোগ ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের মাধ্যমে এসেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এর বেশি মন্তব্য করা সম্ভব নয়।”

তদন্ত কমিটির প্রধান মোছা. তাসলিমা খাতুন বলেন, “গত ৭ আগস্ট অভিযোগটি ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরে দাখিল করা হয় এবং সেখান থেকে ১০ আগস্ট আমাদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে আসে। অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত উভয়ের বক্তব্য নেব। প্রমাণ ও সাক্ষ্য যাচাই করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষতা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করব।”

ঢাকা/হাসিবুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ