অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পর থেকে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্যই নিজেদের প্রস্তুত করছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। এর মধ্যেই গত পরশু দলের বেশির ভাগ সদস্য ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা টি–টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে। উদ্দেশ্য উইকেট সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

ডারউইন থেকে গতকাল ‘এ’ দলের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিচের আচরণ কেমন হয়, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখা। সঙ্গে ক্রিকেটারদের একটা অভিজ্ঞতাও হলো।’ টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে আজ এ মাঠেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ম্যাচ।

উইকেট আর কন্ডিশনের ভিন্নতার চ্যালেঞ্জ তো আছেই, টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে ডারউইনের বাতাসের সঙ্গেও। তবে কোচ বলেন, খেলা শুরুর চার দিন আগে সেখানে যাওয়াটা এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে, ‘আমরা এখানে কয়েকটা দিন আগে এসেছি, যেন ক্রিকেটাররা আবহাওয়া ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। চেষ্টা করছি, অনুশীলনের সময় তাদেরকে এর সঙ্গে ধাতস্থ করতে।’

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফটোশ্যুটে স্পিনার রাকিবুল হাসান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ