চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মৎস্যজীবী লীগের এক নেতার গ্যারেজে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ওই নেতা ও আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার লোহারদীঘিরপাড় এলাকায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ওই অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লোহাগাড়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ (৬৩), সদর ইউনিয়নের মজিদেরপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিন (৪৫), চুনতি ইউনিয়নের আদর্শপাড়ার এনামুল হক (৩৩), নলবনিয়ার মো.

হাফেজ (৪৫), মিরিখিলের মোহাম্মদ আলম (২৩) এবং কলাউজানের আদারচরের প্রমিদ কান্তি সিকদার (৫০)। সবাই গাড়ি চালক।

লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক জাহেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। হারুনুর রশিদকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা আরেক মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাঁদের চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আঙুল হঠাৎ ‘লক’ হয় কেন, হলে কী করবেন

আঙুল সোজা করতে গিয়ে হঠাৎ বেঁকে বা লক হয়ে যেতে পারে। এটাকে বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম স্টেনোসিং টেনোসিনোভাইটিস।

আমাদের আঙুল বাঁকা বা সোজা করার কাজটি হয় টেনডন বা রশির মতো একটি বস্তুর মাধ্যমে। হাড়ের সঙ্গে ঘর্ষণ কমাতে কিছু ‘পুলি’–এর মধ্য দিয়ে চলে। এর একটি ‘এ ওয়ান’ পুলি। এটি ফুলে বা আঁটসাঁট হয়ে গেলে টেনডন সহজে নড়ানো যায় না।

এর ফলে আঙুল বাঁকানোর সময় আটকে যায় বা হঠাৎ ক্লিক দিয়ে সোজা হয়। এটাকেই বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার।

কেন হয়, লক্ষণ

দীর্ঘদিন কারও ডায়াবেটিস থাকলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা (হাইপোথাইরয়ডিজম), হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার—যেমন গ্রিপ করে কাজ করা, হাতুড়ি, কাঁচি ইত্যাদির কারণে এটা হয়ে থাকে। এটি বেশি হয় নারীদের। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে এটা বেশি হতে দেখা যায়।

সকালের দিকে আঙুল শক্ত হয়ে থাকা বা সোজা হতে না চাইলে বুঝবেন ট্রিগার ফিঙ্গার হয়েছে। এ ছাড়া আঙুল বাঁকিয়ে ছেড়ে দিলে আটকে যায় বা ক্লিক শব্দ দিয়ে সোজা হওয়া, আঙুলের নিচের তালুর গোড়ার দিকে ব্যথা, আবার কখনো কখনো আঙুল একদম ‘লক’ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন৮ বছর আগে যেমন ছিল সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র, দেখুন ২০টি ছবি৭ ঘণ্টা আগেকরণীয় ও চিকিৎসা

বারবার শক্তভাবে কিছু ধরা বা চেপে ধরার মতো কাজ কমাতে হবে।

ভারী জিনিস তোলা, ঝাড়ু দেওয়া, হাতুড়ি ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

একটানা কোনো কাজ না করে মাঝেমধ্যে হাত বিশ্রামে রাখা।

ঘুমের সময় হাত মোড়ানো অবস্থায় না রেখে খোলা রাখতে চেষ্টা করা।

কলম বা হাতলের ওপর হালকা গ্রিপ ব্যবহার করা।

আরও পড়ুনআইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়৫ ঘণ্টা আগে

আঙুল সোজা করে রাখার জন্য ফিঙ্গার স্প্লিন্ট বা ওভাল ৮ স্প্লিন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে টেনডনে চাপ কমে এবং বেশ আরামও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফিজিক্যাল থেরাপি বা মেশিন থেরাপি দেওয়া যায়। যেমন প্রদাহ কমাতে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, ব্যথা কমাতে টেনস থেরাপি এবং প্রদাহ–ব্যথা কমাতে  ক্রায়োথেরাপি অর্থাৎ বরফ সেঁক বেশ কার্যকর।

ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। যদি ওপরের সব ব্যবস্থা তিন থেকে ছয় মাসে কাজে না আসে, তখন পারকিউটেনিয়াস রিলিজ বা ওপেন সার্জারির মাধ্যমে ‘এ ওয়ান’ পুলি কেটে দেওয়া হয়।

আঙুলের ব্যায়াম

আঙুলের ব্যায়াম বেশ কার্যকর। থেরাপিস্টের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন ধীরে ধীরে আঙুল নাড়ানো, টেনডন গ্লাইডিং, থেরাপিউটিক পুটি বা বল ব্যবহার করে গ্রিপ শক্তিশালী করা, ব্যথা না বাড়লে ধীরে ধীরে ফ্লেক্সন-এক্সটেনশন ব্যায়াম শুরু করা যায়।

ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনসারা টেন্ডুলকারই কি ভাই অর্জুনের বিয়ের ঘটক? বিস্তারিত জানুন ছবিতে ছবিতে১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ