অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ বল হাতে থাকতেই ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল। ফলে পাকিস্তান শাহীন্সের কাছে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যাত্রা শুরু করল গেলবারের ফাইনালিস্টরা।

রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং শুরুতেই ধাক্কা। প্রথম ওভারেই বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে পরিস্থিতি সামাল দেন জিসান আলম ও সাইফ হাসান। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪ ওভারে আসে পঞ্চাশ রান। আর পাওয়ার প্লে শেষ হয় ৭৪ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৩৮ বলে ৮৬ রান। কিন্তু অষ্টম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে ১৭ বলে ৩৩ রান করা জিসান ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর সাইফও থামেন ৫৭ রানে (৩২ বলে, ৫ চার ও ৩ ছক্কা)।

মাঝের ও নিচের সারির ব্যাটাররা আর দাঁড়াতে পারেননি। সোহান কিছুটা চেষ্টা করলেও (১৬ বলে ২২), বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ দিকে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে হারায় ৫ উইকেট।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তান শাহীনসের তাণ্ডবে বাংলাদেশের সামনে ২২৮ রানের পাহাড়

বাগদান সারলেন শচীনপুত্র অর্জুন, পাত্রী কে?

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শাহীন্সের দুই ওপেনার খাজা নাফে ও ইয়াসির খান মিলে গড়ে দেন ধ্বংসাত্মক সূচনা। প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওঠে একশর বেশি রান। নাফে ৩১ বলে ৬১ রানে রান আউট হওয়ার আগে জুটিতে আসে ১১৮ রান। ইয়াসির করেন ৪০ বলে ৬২।

তৃতীয় উইকেটে মাত্র ২৩ বলে ৪৯ রান যোগ করেন আব্দুল সামাদ ও মোহাম্মদ ফাইক। ফাইককে হারালেও শেষ দিকে সামাদের (২৭ বলে অপরাজিত ৫৬) সঙ্গে ইরফান খান (১২ বলে ২৫) দলকে পৌঁছে দেন ২২৭ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৪ রান। অন্যদিকে রিপন, রকিবুল, মৃত্যুঞ্জয়, মাহফুজুর ও সাইফের ওভারগুলোতে জমেছে প্রচুর রান, যা পাকিস্তানের বিশাল সংগ্রহ গড়তে বড় ভূমিকা রাখে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ