দুই সহযোগীসহ অনিন্দ্যের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ
Published: 17th, August 2025 GMT
রাজশাহীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার মোস্তাসেরুল আলম অনিন্দ্য (৩৩) এবং তার দুই সহযোগী মো. রবিন (২৮) ও মো. ফয়সালের (৩০) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, “নতুন মামলাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখনো অন্য কোনো মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের মধ্যেই তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় কৃষি ব্যাংক লুটের ঘটনায় মামলা
পঞ্চগড়ে ছাত্রদল কর্মী হত্যা, গ্রেপ্তার ২ আসামি কারাগারে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোতালেব হোসেন জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
গ্রেপ্তার অনিন্দ্য রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলম লাট্টুর ছেলে। সম্পর্কে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের চাচাতো ভাই। নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়ির পাশেই ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন তিনি।
শনিবার ভোর থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারে অভিযান চালায়। এসময় অনিন্দ্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চলাকালে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, সামরিক মানের দূরবীন, জিপিএস, স্নাইপার স্কোপ, দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি ধারালো ডেগার, উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, টিজার গান, অব্যবহৃত সিমকার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার, দেশি-বিদেশি মদ ও নাইট্রোজেন কার্টিজ।
২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ড এবং একই বছরের জুলাই মাসে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে অনিন্দ্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তিনি ওই দুইটি মামলা থেকে রেহাই পান।
এ দুইটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি শরিফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অনিন্দ্যের সহপাঠী ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর শরিফুল জানিয়েছিলেন, অনিন্দ্যের মাধ্যমেই তিনি আনসার-আল ইসলামে যোগ দেন। অনিন্দ্য ছিলেন তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ন দ য র
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথক হলো ঢাবি ও সাত কলেজ
সরকারি সাত কলেজের সব প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক দায়-দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সব তথ্য, ছবি ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা বাবদ ফিও হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান তার সভা কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সব দায়িত্ব ও তথ্য প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তবর্তী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের কাজ চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হলো।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র
ডাকসু নির্বাচন: তৃতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ২২ প্রার্থী
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদসহ অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাগণ এবং কলেজের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী