একাডেমি দলের কাছে হারল নুরুলের বাংলাদেশ ‘এ’
Published: 17th, August 2025 GMT
আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ২৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন। গতকাল সেই ম্যাচটি ৩২ রানে জিতে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে অনুষ্ঠিত টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ ‘এ’।
বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আফিফ অপরাজিত রইলেন আজও। টিআইও স্টেডিয়ামে বিগ ব্যাশের দল পার্থ স্করচার্সের একাডেমি দলের বিপক্ষে এবার ৪২ রান করেছেন। তবে আজ এই রান করতে ৪৯ বল খেলতে হয়েছে তাঁকে। ১০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেট যাওয়া আফিফ ছাড়া আর কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। বাংলাদেশ ‘এ’ পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১২৩ রান।
পার্থ স্করচার্স একাডেমি রানটা পেরিয়ে যায় ১২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই। তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল দলটি। অন্যদিকে সমান ম্যাচে দ্বিতীয়বার হারল বাংলাদেশ ‘এ। এই হারে সেমিফাইনালে ওঠার পথটা কঠিন হয়ে গেল নুরুল হাসানের দলের জন্য। ১১ দলের টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল খেলবে ৬টি করে ম্যাচ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারটি দল উঠবে সেমিফাইনাল।
স্বল্প পুঁজি নিয়েই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলাররা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাজ হলো না। দলের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম বলেই স্করচার্স একাডেমির ওপেনার ব্যাক্সটার হল্টকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট পান পেসার হাসান মাহমুদ। ১০ রানে প্রথম উইকেট তুলে নেওয়ার পর বাংলাদেশ ‘এ’ দ্বিতীয় উইকেট পায় ষষ্ঠ ওভারে ৩৬ রানে। জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার মারে গুডউইনের ছেলে জেইডেন গুডউইনকে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান। নিজের পরের ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক স্যাম ফ্যানিংকে এলবিডব্লু করে স্কোরটাকে ৪৭/৩ বানিয়ে দেন রাকিবুল।
৩১ রান করা টিগ উইলিকে অফ স্পিনার নাঈম হাসান যখন ফেরালেন স্করচার্স একাডেমির রান ৬৯। নাঈম দ্বিতীয় উইকেট পান ১৩তম ওভারের শেষ বলে নিক হবসনকে বোল্ড করে। স্করচার্স একাডেমির তখন ৪২ বলে ৪৩ রানের সমীকরণ।
ম্যাথু স্পুরসকে (১৬ বলে ২৪*) নিয়ে এরপর দুই ওভার হাতে রেখেই দলকে জিতিয়ে দেন জোয়েল কার্টিস (৩৪ বলে ৪৪*)।
এর আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছেন ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান রাকিবুল। ২ ছক্কায় ৫ বলে এই রান করেন রাকিবুল। এ ছাড়া ১০ পেরিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান (১৬ বলে ১৪) ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (৮ বলে ১৪)।
মঙ্গলবার পরের ম্যাচ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের, প্রতিপক্ষ নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক।
পার্থ স্করচার্স একাডেমি: ১৮ ওভারে ১২৬/৫ (কার্টিস ৪৪*, উইলি ৩১, স্পুরস ২৪*; রাকিবুল ২/১৮, নাঈম ২/৩১)।
ফল: পার্থ স্করচার্স একাডেমি ৫ উইকেটে জয়ী।আরও পড়ুনক্রিকেট ধারাভাষ্যের পাঁচ শিক্ষক: রবি শাস্ত্রী যা শিখেছেন তাঁদের কাছ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র থ স করচ র স র ন কর প রথম উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
তিন তওবা করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন রুস্তম আলী ফরাজি
তিন তওবা করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন পিরোজপুর ৩ আসনের (মঠবাড়িয়া) সাবেক সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজি।
শনিবার তিনি দলটিতে যোগ দিলে তাকে পিরোজপুর ৩ আসনে হাতপাখার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
ডা. রুস্তম আলী ফরাজী মঠবাড়িয়া থেকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা), মহাজোট থেকে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজয় বরণ করেন।
রুস্তুম আলী ফরাজি অনুসারীদের নিয়ে গত শনিবার দুপুরে চরমোনাই পীরের দরবারে যান। এ সময় তিনি ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর তাকে পিরোজপুর-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন।
ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, এর আগে ডা. রুস্তম ২০১৭ সালে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নিলে তার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ফের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন।
এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘‘রুস্তম আলী ফরাজী আর দল বদল না করার জন্য তিন তওবা পড়েছেন। এই তওবায় তাকে ক্ষমা করা যায়। তাই তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’’
এ প্রসঙ্গে রুস্তম আলী বলেন, ‘‘নতুন যোগদান নয়। পুরোনো সদস্যপদ নবায়ন করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। সে বছর ইসলামী আন্দোলন নির্বাচন বর্জন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। এ কারণে সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিল।’’
জাপায় যোগ দেওয়ার পরও সদস্যপদ ছিল কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তারা (ইসলামী আন্দোলন) রেখেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকে দল বদল করছেন।’’
উল্লেখ্য, ডা. রুস্তম প্রথম সংসদ সদস্য হন ১৯৯৬ সালে জাপার প্রার্থী হয়ে। ১৯৯৮ সালে জাপার ভাঙনে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপিতে যান। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০১১ সালে সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগের এমপিকে পরাজিত করেন। এ সময় তিনি পুনরায় জাপায় যোগ দেন। ২০১৮ সালে জাপার প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের সমর্থনে তিনি সংসদ সদস্য হন। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাপার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জেরে গত বছর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপা তাকে মনোনয়ন দেয়নি। স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন।
ঢাকা/তাওহিদুল/