কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. হায়দার আলী। 

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী মামলায় কুবি কর্মচারী গ্রেপ্তার

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিপ্লব চন্দ্র মজুমদার। 

অন্য সদস্যরা হলেন, কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন, বিজয় ২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমরা আজ সিন্ডিকেট সভায় কুকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। চিঠি পাওয়ার দিন থেকে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তারা কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনে পাঁচ প্রস্তাব

‎রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ব্রাকসু) গঠনতন্ত্র ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (‎৬ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্রাকসু নিয়ে তাদের মতামত উপস্থাপন করে দ্রুত গঠনতন্ত্র সংশোধনের দাবি করেন।

‎সংবাদ সম্মেলনে গঠনততন্ত্র পরিমার্জন ও সংশোধন বিষয়ে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তারা চান এজিএস পদে একজন নারী প্রার্থী অথবা নারী বা ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হোক। মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ গঠন করার প্রস্তাব রেখেছেন তারা। 

অন্য তিনটি প্রস্তাব হলো- ক্যাফেটেরিয়া ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-বিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা, অনাস্থা প্রস্তাবের মতো স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা না রাখা এবং একই ব্যক্তির দুটি পদে থাকার সুযোগ বাতিল করা।

আরো পড়ুন:

ব্রাকসু নির্বাচনের জন্য ৬ সদস্যের কমিশন গঠন

‎বিধি সংশোধনের নামে ব্রাকসু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টার অভিযোগ

ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদে একই ব্যক্তি বসতে পারবেন। ক্ষমতাবলে উপাচার্য ছাত্রসংসদের সভাপতি হয়ে থাকেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বেরোবি শিক্ষার্থী ‎রিফাত রাফি বলেন, “ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব, যদি তাদের সদিচ্ছা থাকে। প্রশাসন চায় কম প্রতিনিধি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে।”

‎আরেক শিক্ষার্থী ইয়ামিন ইসলাম বলেন, “আমি মনে করি, ব্রাকসুতে পদ সংখ্যা আরো বেশি করা উচিত। অনাস্থা প্রস্তাব যদি আনতেই হয়, তাহলে সভাপতি বা কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন নয়? তারাও তো অনাস্থা আনার মতো কাজ করতে পারেন। আমরা চাই সভাপতি পদে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পদে অন্য কেউ থাকুন।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনে পাঁচ প্রস্তাব