টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কখন যে রং পাল্টায় তা বোঝা একেবারেই কঠিন৷ জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ম্যাচে এমন কিছুই হলো। সবাই যখন বরিশালকেই জয়ের আসনে বসিয়ে ফেলেছিল তখন সিলেট রং পাল্টে ম্যাচটাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। শেষমেষ জিতেও নেয়। 

শেষ ২ ওভারে ৩২ রানের সমীকরণ মিলিয়ে সিলেটকে অসাধারণ এক জয় এনে দেন রেজাউর রহমান রাজা ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ৷ ১৯তম ওভারে নাটকের শুরু। রুয়েল মিয়ার এলোমেলো বোলিংয়ে রাজা ও খালেদ ২০ রান তুলে নেন। রাজার ২ চার হাঁকান। খালেদের ব্যাট থেকে আসে বিশাল ছক্কা। এছাড়া তিনটি ওয়াইড, একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেলে রুয়েল মিয়া এলোমেলো হয়ে যান৷ 

শেষ ওভারে লক্ষ্য কেবল ১০ রান। পেসার মেহেদী হাসানের প্রথম বলেই লং অন দিয়ে ছক্কা উড়ান রাজা। পরের বলে ১ রান। তৃতীয় বলে খালেদ লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেও চতুর্থ বলে নাঈম হোসেন শরীফ চার মেরে দলের প্রথম জয় নিশ্চিত করেন। খালেদ ১২ ও রাজা ১৯ রান করেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে আগে বাটিং করে বরিশাল ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে। জবাবে সিলেট ২ বল আগে ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।  

লক্ষ্য আহামরি বড় ছিল না কিন্তু সিলেটের ব্যাটসম্যানদের শুরুর আসা-যাওয়ার মিছিলে চাপে পড়ে তারা। স্কোরবোর্ডের ৫৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সিলেট। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে অমিত হাসান চেষ্টা চালিয়ে যান। পঞ্চম উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন গালিব। ২৪ রান আসে গালিবের ব্যাট থেকে। 

মনে হচ্ছিল বরিশালের বোলাররা পথ হারাবেন এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই। কিন্তু জাতীয় দলের স্পিনার তানভির ইসলাম হাল ছাড়েননি। গালিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন৷ এরপর থেকে রুয়েল মিয়া টিকতে দেননি নতুন ব্যাটসম্যান তৌহিদুলকে৷ 

সিলেটের আশা কখনো টিকিয়ে দেখেছিলেন অমিত। কিন্তু দুর্ভাগা এক রান আউটে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরলে ম্যাচ বরিশালের ভাগ্যে চলে আসে। অমিত ৩২ বলে ৩৯ রান করেন ৫ বাউন্ডারিতে। কিন্তু রাজা ও খালেদ সব উলটপালট করে ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয়।   

এর আগে বরিশালের ইনিংস একাই টেনেছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তিনে নেমে ইনিংসের ১৯তম ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪৪ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৬০ রান। তৃতীয় উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন সালমান হোসেন ইমন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রানের জুটি৷ সালমান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ৩৫ রান করেন ৪টি ছক্কায়। এছাড়া দলের অন্য কোন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেনি। তাতে একেবারে মামুলি পুঁজি পায় বরিশাল বিভাগ।

সিলেটের হয়ে পেসার ইবাদত হোসেন ২৪ রানে নেন ৩ উইকেট। তার ৪ ওভারে ১৬টি বল ছিল ডট। আবার তিন ছক্কাও হজম করেছেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ইবাদত।

ঢাকা/ ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন র ন কর বর শ ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ