একজনের ব্যাটে ৬ ছক্কা। আরেকজনের ব্যাটে ৫। চট্টগ্রাম বিভাগের দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপু রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন ঢাকা মেট্রোর বোলারদের ওপর।

জাতীয় ক্রিকেট লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম ৮ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে ঢাকার বিপক্ষে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা মেট্রো ৬ উইকেট ১৮৫ রান করে। জয় ও দিপুর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৯ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।

আরো পড়ুন:

নিয়মরক্ষার ম্যাচেও শ্রীলঙ্কাকে ২০৩ রানের টার্গেট ছুড়ল ভারত

চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ফিরলো বাদ পড়া ১৫ ক্লাব

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া জয় ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭১ রান করেন৷ ১৯১.

৮৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে চমকে দেন সবাইকে। জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়া দিপুও কম যাননি। ৩৬ বলে ৬৪ রান করেন ২ চার ও ৫ ছক্কায়। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যান ৭৪ রানের জুটি গড়েন। তাতে জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যায় চট্টগ্রামের। ইনিংসের শুরুতে ১৮ বলে ৩১ রান করেন মমিনুল হক।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা মেট্রোর ইনিংসের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ওভার প্রতি ৮ করে তুলছিলেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন। নবম ওভারে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। স্পিনার হাসান মুরাদের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। ১৫ রান পর মাহফিজুল সাজঘরে ফেরেন রুবেলের বলে। দুজনের কেউই ৫০ ছুঁতে পারেননি। নাঈম ৪৬ ও মাফিজুল ৪১ রানে আউট হন। 

উদ্বোধনী যদি ভাঙার পর চট্টগ্রামের বোলাররা ম্যাচে ফিরেন। দ্রুত তারা সাদমান (১৫), আনিসুল (৩) ও মাহমুদুল হাসানের (৪) উইকেট তুলে নেন। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা ঢাকা মেট্রোকে টেনে তোলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আবু হায়দার রনি।

মাহমুদুল্লাহ ৩টি করে চার ও ছক্কায় ২২ বলে ৪১ রান করেন। রনি শেষ দিকে ১২ বলে ২৪ রান করেন ২ চার ও ১ ছক্কায়। তাতে ১৮৫ রানের পুঁজি পায় ঢাকা মেট্রো। ২৩ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন নাঈম হাসান।১টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ রুবেল ও হাসান মুরাদ।

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ