তিস্তাসহ ৩ নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে, ৪ জেলায় সাময়িক বন্যার পূর্বাভাস
Published: 5th, October 2025 GMT
রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলা নদ–নদীর পানি আগামী দুই দিন দ্রুত বাড়তে পারে। আর এতে এসব নদ–নদীসংলগ্ন এলাকায় সাময়িক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। দেশের ভেতরে এবং উজানে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার সকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
দুই দিন আগেই বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এটি স্থল গভীর নিম্নচাপ হয়। তবে গতকাল থেকেই এটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও বিহার রাজ্যে অবস্থান করছে। তবে এর প্রভাব পড়েছে ভারতের এসব রাজ্যসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে। আজও রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বড় এলাকাজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে রংপুর বিভাগে এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ–নদীর পানি আগামী দুই দিন দ্রুত বাড়তে পারে। এসব নদ–নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদ–নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরের এসব নদ–নদীর পাশাপাশি সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদ–নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে। এসব নদ–নদীর কাছাকাছি নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তরের আরও কয়েকটি নদ–নদী যেমন করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা, ঘাঘটের পানিও আগামী দুই দিন বাড়তে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ প্রথম আলোকে বলেন, তিস্তা ও অন্য নদ–নদীর পানি বাড়তে পারে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে। এতে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে দুই দিন পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বৃষ্টিও কমে আসতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র ব ভ স ও সতর ক করণ ক ন দ র নদ নদ র প ন এসব নদ নদ পর স থ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে মুরগি খুঁজতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়া নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিবেশীর বাড়িতে মুরগি খুঁজতে গিয়ে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামের এক নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী।
নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের পূর্ববিরোধ ছিল। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগি মোস্তুফাদের বাড়িতে যায়। এরপর মুরগি খুঁজতে সেখানে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন দা হাতে দৌড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কোপ দেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রৌশনারা বেগম। স্থানীয় ব্যক্তিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নারীর পুত্রবধূ হাফসা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে একটি মুরগি ঘরে না আসায় তাঁর শাশুড়ি এদিক–সেদিক খুঁজছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানান, মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগি বসে আছে। এরপর রৌশনারা মুরগি আনতে গেলে মোস্তুফার ছেলে সাখাওয়াত দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার হারুয়া ও শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১), তাঁর বাবা মোস্তুফা মিয়া (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করে। আটকের তথ্য নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বঁটি ও লাঠি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।