2025-10-05@09:46:05 GMT
إجمالي نتائج البحث: 7
«এসব নদ নদ»:
দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর সুরক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলের পরিবেশ-প্রকৃতি মারাত্মক হুমকিতে পড়বে। ইতিমধ্যে নদ–নদীর চর-ডুবোচরের কারণে নাব্যতা হ্রাস পেয়ে ইলিশের বিচরণ ও প্রজনন হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি নদ–নদীর বিভিন্ন স্থানে দখল-দূষণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এসব কারণে পটুয়াখালীর রাবনাবাদ চ্যানেল; বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদে ইলিশের প্রজনন ও বিচরণ হুমকিতে পড়েছে। এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে এসব নদ–নদী অস্তিত্বসংকটে পড়বে।বরিশালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক নেটওয়ার্কিং মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের সদর রোডের বিডিএস মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বিভাগের ছয় জেলার পরিবেশকর্মী ও সংগঠকেরা অংশ নেন। সভায় বেলার মাঠ সমন্বয়ক এ এম এম মামুন সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বিভাগের বিভিন্ন নদ–নদী ও পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।সভায় বেলার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক লিঙ্কন...
গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাতে দেশের বেশির ভাগ নদ–নদীর পানি বেড়েছে। এর ফলে দেশের ছয় জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংস্থাটি জানায়, আগামী রোববারের মধ্যে এসব নদীর পানি কমতে শুরু করতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, টানা বৃষ্টিপাতে দেশের প্রায় সব জায়গায় নদ–নদীর পানি বেড়েছে। ৬৭টি পর্যবেক্ষণকারী নদ–নদীর ৫০টিতেই পানি বেড়েছে। এসব নদ–নদীর যে ১১৬টি পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তার মধ্যে ৮৯টিতেই পানি বেড়েছে।কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি আজ ও আগামীকাল বাড়তে পারে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি...
কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে তিস্তা, জিঞ্জিরাম, দুধকুমার ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব অঞ্চলের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাউন, ধান, বাদাম, পেঁয়াজসহ সবজি ক্ষেত ডুবে যাচ্ছে। জিঞ্জিরাম নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি কাঠের সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষজন। আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা পাড়ের দলদলিয়া, থেতরাই, বেগমগঞ্জ, মোল্লারহাট, সরিষাবাড়ী, বিদ্যানন্দ এলাকাগুলোতে দেখা যায়, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে পানি বেড়ে যাওয়াতে এসব এলাকার আবাদি ফসল ডুবে গেছে। কৃষকেরা তাড়াহুড়ো করে আধা-পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। কেউ কেউ অপরিপক্ব পেঁয়াজ ও বাদাম ক্ষেত থেকে তুলে নিচ্ছেন। বেশিরভাগ কৃষক অন্যান্য আবাদি ফসল তুলতে না পারায়, তিস্তার পানিতে এসব ডুবে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন অনেক কৃষক। রাজারহাটের তিস্তাপাড়ের...
‘পরিকল্পনা করে নদী ব্যবস্থাপনা না করায় বাংলাদেশের অধিকাংশ নদ–নদী এখন মৃতপ্রায়। ভারতের সঙ্গে আন্তসীমান্ত নদীগুলোতে ভারত নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে গিয়ে বাঁধ দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এসব নদ-নদীর পানি যথেষ্ট পরিমাণে পাচ্ছে না। ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে এখন পর্যন্ত ভারতের কোনো বাঁধ নেই। এই ব্রহ্মপুত্র নদ ৬৭ শতাংশ পানি বহন করে নিয়ে আসে। ফলে এই মুহূর্তে ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশের প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমাদের ব্রহ্মপুত্রকে বাঁচাতে হবে।’ শনিবার বিকেলে আন্তনদী সংযোগের নামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভারতের একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ‘ব্রহ্মপুত্র কনভেনশনে’ আলোচনায় অংশ নিয়ে নদী গবেষক ও রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন এসব কথা বলেন।শেখ রোকন আরও বলেন, ‘নদী তার আপন গতিতে প্রবাহিত হয়। আমরা আজও নদীর গতি বুঝতে পারিনি। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বছরের পর বছর...
ডাইং কারখানার বর্জ্যে মরছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রকাশ্যে এ দূষণ ঘটলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। পরিবেশ কর্মকর্তা চাইছেন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও নরসিংদী সদর উপজেলায় অন্তত ৬০টি ডাইং কারখানা ব্রহ্মপুত্র দূষণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। নদের তীরে অবস্থিত এসব কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই প্রতিদিন নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন। অভিযোগ রয়েছে, নদের তীরে অবস্থিত কারখানাগুলো ইটিপি রাখলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ফেলছে। অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও খরচ কমাতে বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু কারখানার ইটিপি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সঠিকভাবে বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী,...
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এখানে ভৈরব নদের ওপর রয়েছে দড়াটানা সেতু। সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে দেখা যায়, কচুরিপানায় ভরা যেন সরু খাল বয়ে গেছে। দৃষ্টিসীমার মধ্যে পড়ে আরও দুটি সেতু। সেতুর দুই দিকে প্লাবনভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। এসব স্থাপনার বর্জ্য পড়ে স্রোত ও প্রাণহীন ভৈরব নদে। নদের পানি কুচকুচে কালো আর দুর্গন্ধময়।হিন্দু দেবতা শিব রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে তাঁকে ভৈরব বলে ডাকা হয়। তবে ভৈরবের এখন আর রুদ্রমূর্তি নেই। দখল–দূষণ আর অপরিকল্পিত সেতুর কারণে মৃতপ্রায় ভৈরব কোনোরকমে বয়ে চলেছে।যশোরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ, ভৈরব, হরিহর, কোদলা, ইছামতী, হাকর, বেতনা বা বেত্রবতী অথবা বেত্রাবতী, মুক্তেশ্বরী, কাজলা, চিত্রা, শ্রী, টেকা, হরি, ভদ্রা ও আতাই নদ–নদী। ভয়াবহ দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত নির্মিত সেতুতে এখন নদ-নদীগুলো অস্তিত্বসংকটে।মৃতপ্রায় এসব নদ-নদীকে...
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জসমতপুর এলাকায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেন জসমতপুর, দক্ষিণ ধর্মপুর, পাথরটিলা ও কালাছড়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ।স্থানীয় বাসিন্দা আয়ুব আলীর সভাপতিত্বে ও নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় কামাল মিয়া, আব্দুর রউফ, আজাদ মিয়া, নাসির মিয়া, আমির আলী, তাহির মিয়া, জুয়েল মিয়া, হৃদয় মিয়া প্রমুখ।প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের জসমতপুরসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ধলাই নদ থেকে অবৈধভাবে ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করছে কিছু প্রভাবশালী মহল। প্রভাবশালী ইজারাদারের লোকজন নিয়মবহির্ভূতভাবে জসমতপুর মৌজায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছেন। এতে নদীতীরবর্তী হাটবাজার, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি...