বাংলাদেশের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: গোয়েন লুইস
Published: 5th, October 2025 GMT
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। জাতিসংঘ নির্বাচন কমিশনকে সমর্থনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। প্রযুক্তিগত স্তরে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
আহত বিএনপি নেতা রফিকের শয্যাপাশে রিজভী
শক্তিশালী সমবায় প্রতিষ্ঠানই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি: আবদুস সালাম
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়ে গোয়েন লুইস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করছে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, যাতে এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি অবিশ্বাস্য আতিথেয়তা দেখানোয় বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানায় জাতিসংঘ।
সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের কমিটমেন্ট আছে, জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সেসব বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা হচ্ছে—গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। আর সেটা সম্ভব একমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের আলোচনা চলছে, সেটাকে কীভাবে সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করছে, তা আলোচনার বড় অংশ ছিল। রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী দিনে কীভাবে একযোগে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন তারা প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, ততদিন তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন লুইস।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সম্পর্কে তিনি বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে গোয়েন লুইসের অবদানের স্বীকৃতি দিতে চাই। অত্যন্ত কঠিন সময়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী, প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন গোয়েন লুইসের নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গণতন ত র ব এনপ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু: জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অনিকের সম্মানে পদ খালি রাখল ছাত্রশক্তি
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। তবে বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ সম্পাদক পদটি খালি রেখেছে সংগঠনটি।
গত বছরের জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া অনিক কুমার দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
জকসু: প্যানেল ঘোষণাতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন শিবির-ছাত্রশক্তির
জকসু নির্বাচন: নবীনদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ হাসান প্যানেল ঘোষণা করলে এ তথ্য জানা যায়।
গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকায় আন্দোলন চলাকালে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা অনিক তাদেরই একজন।
জবি শাখা ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে চারজন প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, অনিক তাদের মধ্যে একজন। তার ত্যাগ পুরো দেশ দেখেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ সমর্থক—এই প্রচলিত ধারণাটিও অনিক ভেঙে দিয়েছে নিজের বুক পেতে গুলি খেয়ে।”
তিনি বলেন, “অনিকের সেই অবদান ও ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তি ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ সম্পাদক পদে কোনো প্রার্থী দেইনি।”
অনিক কুমার দাস বর্তমানে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী