পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে জেলা প্রশাসকের আর্থিক অনুদান প্রদান
Published: 5th, October 2025 GMT
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
শনিবার রাতে (৪ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দুই দলের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আগামী ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর গোপালগঞ্জে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডির প্রচার ও প্রসারে ক্রীড়ামুখী ও তারুণ্যবান্ধব এই উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জ জেলার ক্রীড়াঙ্গনে জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।
দেশীয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়ার উন্নয়ন ও প্রতিভা বিকাশে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মো.
তিনি নারায়ণগঞ্জ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যেই বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন। দ্রুতই ফুটবল মাঠ সংস্কার হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নাসার কৌশলে পড়াশোনা হয় নারায়ণগঞ্জের স্কুলটিতে, খরচ মাত্র ৩০০ টাকা
ভোরের আলো তখনো পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়েনি নোয়াদ্দা এলাকার সরু রাস্তায়। সেই স্নিগ্ধ সকালের নিস্তব্ধতা ভেদ করে ভেসে আসে শিশুদের খিলখিল হাসি। কেউ বই হাতে, কেউ ব্যাগ কাঁধে, কেউ–বা বন্ধুর হাত ধরে ছুটে চলেছে স্কুলের দিকে। তাদের চোখে কৌতূহলের ঝিলিক, যেন কোনো গুপ্তধনের খোঁজে রওনা হয়েছে।
সম্প্রতি এক সকালে রিয়াজ পাবলিক স্কুলে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। স্কুলটির অবস্থান নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের নোয়াদ্দা এলাকায়। স্কুলটি শুধু ইট-কাঠের ভবন নয়, বরং নতুন আশার প্রতীক। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের শিশুরা মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় এখানে উন্নত মানের শিক্ষা পাচ্ছে। সঙ্গে বিনা মূল্যে মিলছে ইউনিফর্ম, জুতা, ব্যাগ, বইপত্র। শিশুদের কাছে এই বিদ্যালয় যেন স্বপ্নের সিঁড়ি।
স্কুল শুরুর যাত্রা
২০২৩ সালের শুরুতে ইপিলিয়ন গ্রুপের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিয়াজ পাবলিক স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। নারায়ণগঞ্জের নোয়াদ্দা এলাকায় ৫০ শতাংশ জমির ওপর পাঁচতলার আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর স্কুল করা হয়। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন ইপিলিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। খোলা মাঠ, চারপাশে গাছগাছালি, আলো-বাতাসে ভরা ক্লাসরুম শিশুদের মনকে মুক্ত করে, বইয়ের বাইরে বিশাল এক জগৎ দেখাতে শেখায়। সব মিলিয়ে একটি প্রাণবন্ত শেখার পরিবেশ।
অ্যাস্ট্রো ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার পর থেকে মহাকাশের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে আমি নাসার একজন সফল বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই।জান্নাত নূর, রিয়াজ পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীবিদ্যালয়টিতে শিশু থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯২ জন শিক্ষার্থী পড়ছে। প্রতিটি ক্লাসে সর্বোচ্চ ২৪ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক আছেন ১০ জন। তাদের পড়াশোনা দেখভালের দায়িত্বে আছেন একাডেমিক মেন্টর। পড়াশোনায় সমস্যা থাকলে আলাদা সহায়ক ক্লাসের ব্যবস্থা আছে। মেধাবীরা স্ব-শিক্ষা গ্রুপে একে অপরকে শিক্ষক হয়ে শেখায়। শিক্ষার ধরনও ভিন্নধর্মী।
রিয়াজ পাবলিক স্কুল বাংলাদেশে নাসা অ্যাস্ট্রো ক্যাম্প কমিউনিটি পার্টনারস প্রোগ্রামের (এসিসিপি) অফিশিয়াল সাইট হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই স্কুলের শিক্ষকেরা নাসা এসিসিপি ক্যাম্প পরিচালনা করার জন্য নাসা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত রিয়াজ পাবলিক স্কুল। নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জের নোয়াদ্দা এলাকায়