Prothomalo:
2025-10-05@16:29:59 GMT

টানা দুই মাস রপ্তানি কমল

Published: 5th, October 2025 GMT

টানা দুই মাস ধরে দেশের পণ্য রপ্তানি কমছে। গত আগস্টে রপ্তানি কমেছিল প্রায় ৩ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৬১। তারপরও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ রোববার পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ২৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।

গত মাসে ৩৬৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি হয়েছিল ৩৮০ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে গত মাসে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত মাসে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা, প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি কমেছে। অন্যদিকে হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে ১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি

দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে এবার ১২ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ অনুমতির মেয়াদ রয়েছে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। গত সোমবার পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার কেজি ইলিশ। এই ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বা প্রায় ২০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ ২১টি প্রতিষ্ঠান সোমবার পর্যন্ত কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। এই দুটি স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর ইলিশ রপ্তানি হওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই।

স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমতে পারে এমন আশায় ছিলাম আমরা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমেনি। মাত্র দেড় হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছি, লোকসান হয়েছে। তাই আর রপ্তানি করছি নাআবদুল মান্নান, পরিচালক, প্যাসিফিক সি ফুডস

এক দশকে সবচেয়ে কম ইলিশ রপ্তানি

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে ২০১৯ সালে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ওই বছর চার লাখ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। রপ্তানি আয় হয় ৩৯ লাখ ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা। গত সাত বছরে সবচেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই বছর ১৭ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয় এক কোটি ৩৪ লাখ ডলার বা ১৩৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এবারই ভারতে সবচেয়ে কম ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।

এ বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের একটি চট্টগ্রামের কালুরঘাটের প্যাসিফিক সি ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি ৪০ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। তবে সিংহভাগই রপ্তানি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

জানতে চাইলে প্যাসিফিক সি ফুডসের পরিচালক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমতে পারে এমন আশায় ছিলাম আমরা। তবে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমেনি। ফলে মাত্র দেড় হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছি আমরা। তাতেও লোকসান হয়েছে। দাম বেশি থাকায় আর রপ্তানি করছি না।’

আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে মিয়ানমারের ইলিশের রপ্তানিমূল্য কম। ফলে ভারতের বাজারে মিয়ানমারের ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে বেশি।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করে ভারত। দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পরিমাণে ইলিশ আমদানি করে মিয়ানমার থেকে। যেমন ২৪-২৫ অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) দেশটি মিয়ানমার থেকে সাড়ে ছয় লাখ কেজি ইলিশ আমদানি করেছে। গড়ে ভারতের আমদানিমূল্য ছিল ছয় ডলার ২৩ সেন্ট। অন্যদিকে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার কেজি ইলিশ। গড় আমদানিমূল্য ছিল ১০ ডলার ৯৩ সেন্ট।

কত দামে ইলিশ গেল

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার সাড়ে ১২ ডলার বা এক হাজার ৫৩২ টাকা দরে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বেঁধে দিয়েছে। এর মানে হলো, এর চেয়ে কমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না। তবে চাইলেই বেশি দামে রপ্তানি করা যাবে।

এনবিআরের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম মূল্যে ইলিশ রপ্তানি হয়ে আসছে। ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইলিশ রপ্তানির নজির খুব কম।

যেমন এ বছর রপ্তানি হওয়া ৪৫টি চালানের মধ্যে ৪৪টি চালানের ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য, অর্থাৎ সাড়ে ১২ ডলারে। শুধু একটি চালান ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে রপ্তানি হয়েছে। এই চালানটি রপ্তানি করেছে ভোলার চরফ্যাশনের রাফিদ এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি ৪২০ কেজি ইলিশ কেজিপ্রতি ১৩ ডলার ৬০ সেন্ট করে রপ্তানি করেছে।

প্রতিবার অনুমতির চেয়ে কম রপ্তানি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এবং এনবিআরের রপ্তানির হিসাব তুলনা করে দেখা গেছে, প্রতিবারই যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়, বাস্তবে রপ্তানি হয় খুব কম। যেমন গত বছর ২৪ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও বাস্তবে রপ্তানি হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার কেজি ইলিশ। অর্থাৎ অনুমতির ২৩ শতাংশ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এবারও এখন পর্যন্ত অনুমতির ১১ শতাংশ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম সব সময় ওঠানামা করে। বেশি পরিমাণে রপ্তানি করার আশায় অনুমোদন নিয়ে থাকেন রপ্তানিকারকেরা। তবে সব সময় স্থানীয় বাজারে দরদাম বিবেচনা করে রপ্তানি করতে হয়। স্থানীয় বাজারের দাম বেশি থাকায় এবার অনুমতি পাওয়া পরিমাণের চেয়ে অনেক কম পরিমাণে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুনাফা কমলেও রেকর্ড লভ্যাংশ দেবে ইবনে সিনা ফার্মা
  • ভারতে ১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি