‘শিল্পীরা কোমল হৃদয়ের অধিকারী’—নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিলেন উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। তিনি চান, শিল্পীরা যেন দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে সর্বজনীন মর্যাদা পান।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক বার্তা দিয়ে জয় লেখেন, “বিএনপির আমলে বিএনপির শিল্পী, আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের শিল্পী—গত ২৫ বছর ধরে এই চিত্রই দেখছি। দয়া করে শিল্পীদের এবার সর্বজনীন করে দিন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে ভুলভ্রান্তি হয়েছিল, তা ক্ষমা করুন।” 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারের পানিতে নামলেই শরীর চুলকায়: নায়লা নাঈম

প্রেম-বিয়ে-পরকীয়ার মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার হয়েছে: রুনা খান

শিল্পীদের প্রতি সহানুভূতির আহ্বান জানিয়ে জয় লেখেন, “শিল্পীরা কোমল হৃদয়ের মানুষ। তাদের শক্তভাবে বিচার না করে মায়া ও মমতায় অনুপ্রাণিত করুন। সংস্কারের হাওয়া যখন সর্বত্র বইছে, তখন শিল্পীদের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসুক।” 

দেশের প্রয়োজনে শিল্পীদের পাশে রাখা জরুরি। তবে রাজনৈতিক স্বার্থে নয়, বরং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন জয়। এ প্রসঙ্গে জয় লিখেন, “যারা ক্ষমার যোগ্য, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করুন এবং ভয়-আতঙ্ক থেকে মুক্ত করুন। তবে যারা ভয়াবহ অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয় আলাদা।” 

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জয় জানান, তিনি আতঙ্কে নেই। তার ভাষায়, “আমি জ্ঞানত কোনো অন্যায় করিনি। শিল্পী সমাজের জন্যই এই পোস্ট করেছি। যদিও শিল্পীদের মধ্যে একতার অভাব আছে, তবু আমার দায়বদ্ধতা আছে সবার জন্য লিখতে।” 

শিল্পীদের নিরাপদ ও উদ্দীপনামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য জয় ‘সংস্কার ও ক্ষমার পথকেই’ উত্তম বলে মনে করেন। তার এই পোস্টে নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ জয়ের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলেছেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, যৌথ বাহিনীর ধাওয়া

নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আজ দুপুরের পর থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আদালত এলাকায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ছাইফ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা এ সময় ছাইফ উদ্দিনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে যৌথ বাহিনী এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিকেলে হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু মিছিল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ