চোখের যত্নের গুরুত্ব বোঝাতে ম্যারাথনে অংশ নিল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর-কিশোরীরাও
Published: 9th, October 2025 GMT
বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ময়মনসিংহে আয়োজন করা হয়েছে এক ভিন্নধর্মী এক মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কে জমতে থাকে অংশগ্রহণকারীদের ভিড়। পরে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণীরা।
‘চোখের যত্ন সবার জন্য, সর্বত্র’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডা.
আয়োজকেরা জানান, মিনি ম্যারাথনটিতে ৮৫৭ জন ছেলে, ২৪৭ জন মেয়ে এবং ১০৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর-কিশোরী অংশ নেয়। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে চক্ষুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও দৃষ্টিশক্তির যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই আয়োজন। এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আলোকিত ভবিষ্যতের পথে এক প্রতিশ্রুতিশীল দৌড়। আয়োজনে বিনা মূল্যে চোখের পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও ছিল।
ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, চোখের যত্নে অবহেলা করলে সামান্য সমস্যা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ আয়োজনের লক্ষ্যই হচ্ছে, মানুষকে বিষয়টি বোঝানো।
প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়কারী শরীফুজ্জামান পরাগ বলেন, ‘প্রতিবছরই দৃষ্টি দিবসে এমন আয়োজন করে থাকি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও এই আয়োজন। এবার বিশেষত্ব হচ্ছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর–কিশোরীরাও অংশ নিয়েছে এতে।’
ম্যারাথন শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে মেডেল ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সনদ বিতরণ করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র যত ন
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইন ট্যুরিজম মেলার কুইজ বিজয়ীরা পেলেন পুরস্কার
প্রথম আলো অনলাইন ট্যুরিজম মেলায় প্রতিদিনের কুইজ প্রতিযোগিতা ‘ভ্রমণজান্তা’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী ১২ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
‘ভ্রমণের সবকিছু, এখানেই…’ স্লোগানে গত ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় অনলাইন ট্যুরিজম মেলা। প্রথম আলো ডটকম দ্বিতীয়বারের মতো সাত দিনব্যাপী এ মেলা আয়োজন করে। tourismmela.pro ওয়েবসাইটে ছিল ভ্রমণ–সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য, অফার, বিশেষ ফিচার, ভিডিও কনটেন্ট এবং প্রতিদিনের কুইজ প্রতিযোগিতা ‘ভ্রমণজান্তা’। এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১২ জনকে বিজয়ী হিসেবে বাছাই করা হয়।
নির্বাচিত ১২ জনের মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাস্ট্রার সৌজন্যে চারজন পেয়েছেন ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা উড়োজাহাজের টিকিট। তিনজন পেয়েছেন ঢাকা–সিলেট–ঢাকা উড়োজাহাজের টিকিট। বাকি পাঁচজন পেয়েছেন হোটেল হলিডে ইনে কাপল ডিনারের সুযোগ।
এ সময় ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজারের সৌজন্যে তাৎক্ষণিকভাবে বিজয়ীদের মধ্য থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে তিনজনকে কক্সবাজারে অবকাশযাপনের সুযোগের ঘোষণা দেওয়া হয়। দুজন সৌভাগ্যবান দুই রাত তিন দিন এবং একজন এক রাত এক দিন ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজারে থাকার সুযোগ পাবেন।
অনলাইন ট্যুরিজম মেলার ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। কো–স্পনসর ভূমি প্রোপার্টিজ। এয়ারলাইনস পার্টনার ছিল এয়ার অ্যাস্ট্রা। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো গোযায়ান, ভাইয়া হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস, ছুটি রিসোর্ট, গাড়িবুক, ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজার, এমঅ্যান্ডএন হলিডেজ, ট্রিপনেস্ট লিমিটেড, রেনেসান্স হলিডেজ, চলঘুরি লিমিটেড, হলিডে ইন, এমি ট্রাভেল টেকনোলজি লিমিটেড এবং এয়ারপিডিয়া হলিডেজ। কমিউনিটি পার্টনার ছিল ট্রাভেল বিডি, রোপ ফোর, ভ্রমণকন্যা ও গো–গার্লস।
ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা বিমান টিকিট পেয়েছেন ঢাকার জুবের আহমেদ সাহেল, আবদুল ওয়াসিফ চৌধুরী, শারমিন জাহান লুনা এবং মো. আসিম ইত্তিসাম। ঢাকা–সিলেট–ঢাকার বিমান টিকিট পেয়েছেন ঢাকার আয়েশা সিদ্দিকা, তাহমিদ হাসান এবং কামরুন নাহার। হোটেল হলিডে ইনে কাপল ডিনারের সুযোগপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার ইবনুন নাফিস ঐশ্বর্য, মো. সালাউদ্দিন, জেড এম সাইফুল ইসলাম, ইফফাত হাজান রিয়া এবং গাজীপুরের মো. কায়ছার আহমেদ। ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজারের সৌজন্যে দুই দিন তিন রাত অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়েছেন ঢাকার কামরুন নাহার ও ইফফাত জাহান রিয়া এবং এক দিন এক রাত অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়েছেন ঢাকার মো. সালাউদ্দিন।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হলো পর্যটন খাত। যার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যায়, যেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আজকের এ আয়োজনে যাঁরা এসেছেন আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, আপনাদের অংশগ্রহণেই অনলাইন ট্যুরিজম মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিজয়ীদের অভিনন্দন।’
ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং সৈয়দ এহসানুর করিম অন্তর বলেন, ‘ট্যুরিজমের সঙ্গে পেমেন্টের সম্পর্ক সরাসরি। ইবিএল ভ্রমণপ্রেমীদের ভ্রমণকে সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন করতে সব সময় বিভিন্ন অফার নিয়ে আসে। সেই অফারগুলো গ্রাহকের মাঝে পৌঁছে দিতে আমরা এই মেলাকে বেছে নিই। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গ যুক্ত থাকবে ইবিএল।’
ভূমি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন মো. জাবেদ বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ হলো তরুণ প্রজন্ম। তাঁদেরকে খেলাধুলা এবং ভ্রমণে উৎসাহ দেওয়া দরকার। সেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এ মেলায় অংশ নিয়েছি। প্রথম আলো ডটকমকে ধন্যবাদ এ রকম উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।’
এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘দেশে অফলাইন ট্যুরিজম মেলা অনেক হয়। কিন্তু অনলাইনে এ ধরনের উদ্যোগে প্রথম আলোই প্রথম। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে আমরা থাকতে চাই।’
প্রথম আলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে অনলাইন ট্যুরিজম মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। প্রথম আলো কার্যালয়, কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ২৩ নভেম্বর